বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিওর শেয়ার পেতে আবেদন শুরু হয়েছে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এই আবেদন করা যাবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ও অনিবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আবেদন করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এবং অনিবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার শেয়ার পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ১০ হাজার টাকার কম বা বেশি হতে পারবে না।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, তালিকাভুক্ত শেয়ারে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে, তবেই তারা এই শেয়ারের আইপিও পেতে আবেদন করতে পারবেন।
অনিবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকাভুক্ত শেয়ারে ন্যূনতম ১ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের এই শেয়ারের আইপিও পেতে আবেদন করতে হবে ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে।
গত ৬ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয়।
চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ১৫ কোটি টাকা তুলবে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
বিমাটি ১৫ কোটি টাকার মধ্যে ৬ কোটি টাকা সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করবে, ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা তালিকাভুক্ত শেয়ারে বিনিয়োগ করবে, আর ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আইপিও টাকা তোলা বাবদ খরচ করবে।
২০১৩ সালে নিবন্ধন পায় চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ট্র্যাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
২০২১ সালের ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানটির লাইফ ফান্ড ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৬৮ হাজার ৭২০ টাকা। মোট উদ্বৃত্ত ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের জন্য উদ্বৃত্ত রয়েছে ৪৫ লাখ টাকা।