নিত্যপণ্যের মধ্যে ৯টির দাম নির্ধারণ করে দেয়ার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নির্ধারণ করা হলো চিনি ও পাম তেলের দর।
সিদ্ধান্ত হয়েছে পাম তেল এখন থেকে বিক্রি হবে ১৩৩ টাকা লিটার দরে। এই তেলের দর ছিল ১৪৫ টাকা। অর্থাৎ কমেছে ১২ টাকা।
অন্যদিকে চিনির দুই ধরনের দর ঠিক করা হয়েছে। প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দর ঠিক করা হয়েছে ৮৯ টাকা আর খোলা চিনি প্রতি কেজি ৮৪ টাকা। বর্তমান বাজারদর এটিই।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ দাম ঘোষণা করে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাম তেল সুপার খোলা প্রতি লিটার মিলগেট মূল্য ১২৮ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১৩০ টাকা এবং খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
পরিশোধিত খোলা চিনি এক কেজি মিলগেট মূল্য ৭৯ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৮১ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৮৪ টাকা।
প্যাকেট চিনি এক কেজি মিলগেট মূল্য ৮২ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৮৪ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৮৯ টাকা।
রোববার থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাম তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা কমানোর সুযোগ আছে বলে সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। চিনির দামও কমিয়ে আনার পরামর্শ দেয় এই প্রতিষ্ঠান।
ট্যারিফ কমিশন থেকে দেয়া সুপারিশে বলা হয়, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু কমেছে পাম তেলের দাম। তাই এই তেলের দাম স্থানীয় বাজারে কমানোর সুযোগ আছে। তবে সয়াবিন তেল যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা যৌক্তিক। পাম তেলের দাম বর্তমানে ১৪৫ টাকা । এই তেলের দাম লিটারে অন্তত ১২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
চিনি বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন থেকে পাঠানো সুপারিশে বলা হয়, প্রতি কেজি খোলা চিনি ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ৮৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনির কেজিপ্রতি দাম হওয়া উচিত ৮৮ টাকা।
গত ৩০ আগস্ট বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল, বেঁধে দেয়া হবে ৯ পণ্যের দাম। ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, রড, সিমেন্ট, চাল, আটা, ময়দা, মসুর ডাল, ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
সেই অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণও শুরু করে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। তবে সামনে আসে নানা বিপত্তি।
৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করা থেকে সরে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোজ্যতেল, চিনি, রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণ করবে এই মন্ত্রণালয়।
তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে।