পুঁজিবাজারে বুধবার শুরু হয়েছে আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন। প্রথম দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফান্ডটির ইউনিট লেনদেন হয়েছে অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালুর নিচে, ৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
অবশ্য লেনদেন শেষ হয়েছে ফেস ভ্যালুর ওপরের দরেই। তবে অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দিনভর ফেস ভ্যালুর ওপরেই ফান্ডটির লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন হওয়ায় ফান্ডটির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ছিল না। তাই ১০ শতাংশ বা ১ টাকার মতো দর কমা বা বৃদ্ধির সুযোগ ছিল।
ফলে দিনের বিভিন্ন সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর বিপরীতে সর্বোচ্চ দর ওঠে ১১ টাকা।
বিপরীতে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দর কমে লেনদেন হয়েছে। দিনের একসময় ৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয় প্রতি ইউনিট। তবে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সায়, যা ইউনিটটির ক্লোজিং প্রাইস।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে কী হবে জানতে চাইলে ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, ‘আইপিওতে শেয়ার আসার পর প্রথম লেনদেনের দিনে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর থাকে না। প্রথম দিনের ক্লোজিং প্রাইস পরের দিন থেকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে গণ্য করা হবে।’
এদিকে ডিএসই ও সিএসই মিলে প্রথম দিনে ফান্ডটির লেনদেন হয়েছে ৯৮ লাখ ৯১ হাজার ১২৫ টাকা। এর মধ্যে ডিএসইতে ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ও সিএসইতে ৫৫ হাজার ১২৫ টাকা লেনদেন হয়।
লেনদেন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৫৪১ বারে ডিএসইতে ফান্ডটির ৯ লাখ ৭৫ হাজার ২৭১টি ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে সিএসইতে সাতবারে মাত্র ৫ হাজার ২৫০টি ইউনিট হাতবদল হয়।
লেনদেনের শুরু থেকেই সিএসইতে একই দরে অর্থাৎ ১০ টাকা ৫০ পয়সায় প্রতিটি ইউনিট হাতবদল হয়েছে। ফলে সিএসইতে ফান্ডটির ক্লোজিং প্রাইস ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
মিউচুয়াল ফান্ডটির লেনদেন শুরু উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে ঘণ্টা বাজানো বা রিং দ্য বেল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এবং আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য এ মিউচুয়াল ফান্ড চালু করেছে। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এই গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে আসা হয়।
ফলে ফান্ডটির স্পন্সর হলো সিএমএসএফ এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে আছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইসিবি এএমসিএল)।
ফান্ডটির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা। এর উদ্যোক্তা হিসেবে সিএমএসএফ ৫০ কোটি টাকা এবং আইসিবি এএমসিএল ২০ কোটি টাকা দিয়েছে।
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের ৫ কোটি টাকা দেয়। বাকি ২৫ কোটি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়, যা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।
গত ৩১ মার্চ সিএমএসএফ ফান্ডের ট্রাস্ট ডিড এবং বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা চুক্তির বিষয়ে বিএসইসি অনুমোদন দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ এপ্রিল একটি ট্রাস্ট ডিড সই হয়।
এ ছাড়া ফান্ডটির কাস্টোডিয়ান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এবং ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।