চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার (২ বিলিয়ন) ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান। ঋণ প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং এডিবি সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়। বলা হয়, করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্যতম সেরা উদাহরণ স্থাপন করেছে।’
বাংলা দেশের গ্রামীণ ও নগর উন্নয়ন এবং এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন বিনিয়োগকে উৎসাহীত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় এডিবি থাকবে।
বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।
বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবিকে আরও সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও এডিবির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এডিবি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ২ হাজার ৭০০ কোটি (২৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ দিয়েছে। সংস্থাটি বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, পানি সম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, সুশাসন, আর্থিক এবং বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়।
ম্যনিলায় যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী
আগামী ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এডিবির ৫৫তম বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
মন্ত্রণালায়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, ইআরডি সচিব শরিফা খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সভায় যোগ দেবেন।