বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপুল লেনদেন, সূচকের উত্থান থেকে অবিশ্বাস্য পতন

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:২০

দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার, যা ২০১০ সালের মহাধসের পর সপ্তম সর্বোচ্চ লেনদেন। ২০২০ সালে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পর গত বছরের আগস্টের তিনটি এবং সেপ্টেম্বরের তিনটি কর্মদিবসে এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়।

এ যেন আকাশ থেকে মাটিতে পতন।

বেলা একটা পর্যন্ত লেনদেন আড়াই হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই, সূচক তখন পর্যন্ত বেড়েছে ৭০ পয়েন্ট। শুরুতেই ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর এই উত্থানে গত ৯ মের অবস্থানকে ছাড়িয়ে যায় কি না, এমন অপেক্ষার মধ্যে হঠাৎ নিম্নমুখী প্রবণতা। কেবল ৫০ মিনিটে ৭৪ পয়েন্টের পতন দেখল বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে এই চিত্রই বলে দেয় উত্থান পর্বেও দেশের পুঁজিবাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না।

এই পতনের মূল কারণ অবিশ্বাস্য উত্থানে থাকা ওরিয়ন গ্রুপের একটি কোম্পানির দরপতন। তরতর করে বাড়তে থাকা বিকন ফার্মার শেয়ারদর কেবল ৪.৮০ শতাংশ দরপতনেই সূচক থেকে হারিয়ে গেছে অনেকখানি পয়েন্ট।

কোম্পানিটির দর আগের দিন ছিল ৩৬৯ টাকা ২০ পয়সা। লেনদেনের শুরুতেই তা উঠে যায় ৩৯৩ টাকায়। পরে এক পর্যায়ে নেমে আসে ৩৫০ এ। লেনদেন শেষ করে ৩৬১ টাকায়। দিনের সর্বোচ্চ দরের চেয়ে সমাপ্ত দরের পার্থক্য ৩২ টাকা।

তবে এই গ্রুপের অন্য দুই কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের স্বপ্নের মতো উত্থান অব্যাহত আছে। আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর দিনের শুরুতে অনেকটা বেড়ে গেলেও দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ১০ টাকা কমে শেষ করেছে লেনদেন।

এদিন পুঁজিবাজারে যে লেনদেন হয়েছে, তা কেবল চলতি ২০২২ সালের সর্বোচ্চ নয়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। অর্থাৎ গত এক বছরেও এত বেশি লেনদেন দেখেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার, যা ২০১০ সালের মহাধসের পর সপ্তম সর্বোচ্চ লেনদেন।

২০২০ সালে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পর গত বছরের আগস্টের তিনটি এবং সেপ্টেম্বরের তিনটি কর্মদিবসে এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়।

এর মধ্যে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, ৯ আগস্ট ২ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২ হাজার ৯০১ কোটি টাকা, ৫ সেপ্টেম্বর ২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা, ৭ সেপ্টেম্বর ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা এবং ১০ আগস্ট ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা হাতবদল হয়।

২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দর সংশোধনে যাওয়া পুঁজিবাজারে পরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভেদ এরপর অর্থবছরের সমন্বয় এবং সবশেষ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ধস নামে।

এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ এবং ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৌশলী সার্কুলারের পর থেকে গত ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লেনদেন।

এই উত্থান শুরুর আগের কর্মদিবস ২৮ জুলাই সূচক নেমে গিয়েছে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে এবং ক্রমেই তা ছিল নিম্নমুখী। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা ছিল আতঙ্কে।

পরের কর্মদিবস থেকে ছয় শ পয়েন্টের বেশি হারিয়ে ফেলা সূচক ফিরে পেলেও বিনিয়োগকারীদের মনের খেদ মেটেনি। কারণ এই উত্থানের প্রভাব পুঁজিবাজারে সমভাবে পড়েনি। অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারের মাত্রাতিরিক্ত দর বৃদ্ধির মধ্যেও ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে ১৩০টিরও বেশি কোম্পানি। এর মধ্যে কিছু দুর্বল কোম্পানি থাকলেও শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিও আছে।

বেলা একটার সময়ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। সেখান থেকে ৫০ মিনিটে কমে যায় ৭৪ পয়েন্ট

সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বা গ্রামীণ ফোনের মতো কোম্পানিও এই তালিকায় দেখে বিস্মিত হন অনেকেই। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর সিংহভাগ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের হাতে গোনা এক দুইটি ছাড়া সবগুলোও এই তালিকায়।

লেনদেনের সিংগভাগও কয়েকটি কোম্পানিতেই হচ্ছে। লেনদেন হওয়া ৩৭৩ টি কোম্পানির মধ্যে কেবল ১০টিতে হাতবদল হয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। তালিকাটি আরও ছোট করলে দেখা যায় মোট লেনদেনের ৩৫ শতাংশ হয়েছে কেবল ৫টি কোম্পানিতে আর ২৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে কেবল তিনটি কোম্পানিতে।

গত কয়েক দিনের মতো এদিনও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। আগের দিন দর হারানো কোম্পানির চেয়ে দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির দর ছিল দেড় গুণের বেশি, সেটি এবার হয়েছে দ্বিগুণের বেশি।

এদিন বেড়েছে ৭২টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ১৫৬টির। ১৪৫ টি কোম্পানি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে। এর মধ্যে সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে।

সূচক পতনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘অনেক শেয়ারের ওভার ভ্যালুড হয়ে পড়েছিল। যার কারণে সেগুলো থেকে শেষ দিকে দ্রুত প্রফিট টেকিং হওয়ায় সূচক পতন হয়েছে।’

লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রস ট্রেড হওয়ার কারণে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।’

বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাজারের অনেক কিছুই গ্রামারের বাইরে ঘটছে। পুঁজিবাজারের যে উত্থান তার সুফল পুরো বাজারে সমানভাবে পড়ছে না। এটা চিন্তার বিষয়। এটা স্বাভাবিক আচরণ নয়।’

বিনিয়োগকারীদের বিশ্লেষণ করে সতর্কভাবে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।

সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় বিকন ফার্মা

সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বিকন ফার্মা। দর কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমায় ডিএসই সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ৪৭ দশমিক ০৭ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমেছে তিতাস গ্যাসের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিডের দর ২ দশমিক ১২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট।

গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, বার্জার পেইন্টস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইউনিলিভার কনজিউমার ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট।

সূচক বাড়াল যারা

সবচেয়ে বেশি ৩৫ দশমিক ১১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ। শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।

একমি ল্যাবরেটরিজের দর ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।

ওরিয়ন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ১১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

এর বাইরে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, সি পার্ল, জেএমআই হসপিটাল, বসুন্ধরা পেপার, আইসিবি, কোহিনূর কেমিক্যাল ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১২৬ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট।

কোন খাত কেমন

দরপতনের পাল্লা ভারি হওয়ায় ওষুধ ও রসায়ন ছাড়া আর কোনো খাতেই দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।

১৭টি বা ৫৬ শতাংশের বেশি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। সাত শ কোটি ছুঁইছঁই হাতবদল হওয়ার মধ্য দিয়ে লেনদেনেও শীর্ষে রয়েছে খাতটি।

হাতবদল হয়েছে ৬৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বিপরীতে ৬টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে আরও ৭টি কোম্পানির শেয়ার।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের লেনদেন হয়েছে ৫৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বা ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এই দুই খাত মিলে লেনদেন হয়েছে ৪৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর কোনো খাতের লেনদেন ১০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি।

তবে দরপতনের পাল্লাই ভারি ছিল খাতটিতে। ৭টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৩টির ও ৪টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

প্রকৌশল খাতে ১১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২০টির। আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১১টির।

১০ শতাংশের কাছাকাছি লেনদেন হয়েছে একমাত্র এ খাতেই। দিনভর হাতবদল হয়েছে ২৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

বস্ত্র খাতে ১৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। আর কোনো খাতের লেনদেন পাঁচ শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি।

এ খাতের ৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৬টির।

পঞ্চম স্থানে থাকা আইটি খাতে ১২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬টির ও একটির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।

জ্বালানি খাতে লেনদেন একশ কোটি অতিক্রম করলেও দরপতনই বেশি ছিল।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৯টি বা ৪০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।

লেনদেনে রাজা বেক্সিমকো-ওরিয়ন ফার্মা

একক কোম্পানি হিসেবে লেনদেনে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এই কোম্পানিটির ৩৪২ কোটি ৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২৭ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জাহাজ প্রতিষ্ঠান শিপিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশে। এই কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আর কোনো কোম্পানিতে শত কোটি টাকা লেনদেন হয়নি। শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলো হলো একমি ল্যাবরেটরিজ, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, জেএমআই হসপিটাল, ইস্টার্ন হাউজিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, ডেল্টা লাইফ ও বেক্সিমকো ফার্মা।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

এদিন দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে লোকসানি সেন্ট্রাল ফার্মা। ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার পাওয়ারের। ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫ টাকা ২ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ৮৭ টাকা ২০ পয়সা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ক্যাপিটালের।

৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা।

বিডিকমের দর ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৭ টাকা ৩০ পয়সায়।

এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে সি পার্ল, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, জেএমআই হসপিটাল ও আমারটেক।

দর পতনের শীর্ষ ১০

পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিডি ওয়েলডিং। অজানা কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে দর বাড়তে দেখা গেছে লোকসানি কোম্পানিটির।

মঙ্গলবার ৯ দশমিক ২২ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩০ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে আরেক লোকসানি কোম্পানি। ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৪০ পয়সায়। তার আগে তিন কর্মদিবস দর বেড়েছিল। অবশ্য এই প্রবণতা নতুন নয়, মাঝে মাঝেই দর বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের। ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১৫২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ই-জেনারেশন, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ন্যাশনাল টিউবস, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, জেনেক্স ইনফোসিস, রতনপুর স্টিল ও পেপার প্রসেসিং।

এ বিভাগের আরো খবর