সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে সরকার। এখন থেকে সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তারা বিদেশে যেতে পারবেন বলে সোমবার অর্থমন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত ১২ মে পরিপত্র জারি করে অর্থমন্ত্রণালয়।
এর পাঁচ মাসের মাথায় এ বিষয়ে ফের পরিবর্তন এল। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়নে সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে কেউ মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন করতে চাইলে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ছাড়া তারা কোনো উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে বিদেশে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন।
তবে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।