আমদানীকৃত পণ্যের মূল্য বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার ওভারসিজ করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশে (ওক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান।
গত ৩০ আগস্ট অত্যাবশ্যকীয় ৯ পণ্য চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, মসুর ডাল, ডিম, সিমেন্ট ও রডের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওইদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই ৯টি পণ্যের যথার্থ দাম কী হওয়া উচিত, তা নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
পণ্যের এমন দাম বেঁধে দেয়া বাস্তবসম্মত কি না, তা নিয়ে আজ মন্ত্রীর কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা করি আন্তর্জাতিক বাজারে, এটা একেবারেই যে বাইবেলের পাতা, তা কিন্তু নয়। আমরা আজকে যেটা ঠিক করলাম আন্তর্জাতিক বাজারের দাম দেখে, আমাদের ল্যান্ডিং কস্ট ধরে একটা ঠিক করি। যদি দামটা বেড়ে যায়, তাইলে প্রতি মাসেই একবার করে বসা হয়।
‘সঙ্গে সঙ্গে দেখা হয় যে, দামটা আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে। সিস্টেমটা এ রকম, কততে কত বাড়ল, তার ল্যান্ডিং কস্ট কত, ডিউটি স্ট্রাকচার কত, সব দেখে একটা ফ্রেম আছে, যেটা আমাদের ট্যারিফ কমিশন ঠিক করে। অতএব যেটা আছে, সেটা সারা বছরের জন্য ফিক্সআপ হবে, তেমনটা নয়। ইম্পোর্টেড আইটেম টাইম টু টাইম ডিপেন্ডিং অন দ্য গ্লোবাল প্রাইস (সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয় বিশ্ববাজারের সঙ্গে)। সেটা কিন্তু সেভাবে ঠিক করবে এরা (ট্যারিফ কমিশন)।
‘সেটার জন্য বলি যে, এটাও তারা ঠিক করবে টাইম টু টাইম এবং সে অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব যেটা বুঝতে পারলাম এখন, তারা ফিক্সআপ করে দিলে ভোক্তা অধিকার আছে, তাদের দিয়ে বাজার মনিটর করাটা আমাদের দায়িত্ব, তবে গ্লোবাল দামের সঙ্গে সঙ্গে এটাও বাড়বে। না হলে তো তারা ইমপোর্ট (ব্যবসায়ীরা আমদানি) বন্ধ করে দেবে।’
সয়াবিনের দাম ওঠানামার বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করেছেন যে সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ ছিল। আমরা একবার বাড়িয়ে ১৯৫ করলাম, ২০৫ করলাম, আবার কমালাম ৫ টাকা, আবার কমালাম ১৪ টাকা। আবার বাড়ালাম ৬ টাকা। এসব খেলা চলছে অ্যাকচুয়ালি গ্লোবাল মার্কেটের আপ অ্যান্ড ডাউনের (ওঠানামা) ওপর। সেভাবে ফিক্সআপ (নির্ধারণ) করা হবে।’