বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড় প্রকল্পে হংকংয়ের বিনিয়োগ চায় সরকার

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:৫৫

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের অভিযাত্রাকে সক্রিয় করতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আমাদের রয়েছে তরুণ ও দক্ষ শ্রমিক। সে সঙ্গে আছে বিনিয়োগের জন্য নানা সুবিধা। আমার বিশ্বাস, বিদেশি উদ্যোক্তারা এসব সুযোগ গ্রহণ করে এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।’

দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বেশকিছু বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আরও নতুন বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। হংকং চাইলে এ ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।

অর্থনেতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান মঙ্গলবার এক সেমিনারে এ কথা বলেন।

ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও হংকং ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এইচকেটিডিসি) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

রাজধানীর এক হোটেলে ‘বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, ‘হংকং ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যার বেশিরভাগই টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতে।

‘বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সরকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনসহ নানাবিধ শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হংকং-এর উদ্যোক্তারা এখানে আরও বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারেন।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের অভিযাত্রাকে সক্রিয় করতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আমাদের রয়েছে তরুণ ও দক্ষ শ্রমিক। সে সঙ্গে আছে বিনিয়োগের জন্য নানা সুবিধা।

‘বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রয়োজনীয় আইনের সংস্কার ও নতুন নীতিমালা প্রণয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, বিদেশি উদ্যোক্তারা এসব সুযোগ গ্রহণ করে এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইআরডি সচিব শরিফা খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ও হংকং-এর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। এটি কমিয়ে আনতে হলে দেশে হংকং-এর বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।

‘দেশের ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের অধিকতর উন্নয়নে বিশেষ করে বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিট বা পিপিপি’র আওতায় যৌথ বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে এইচকেটিডিসি’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কনসালটেন্ট রাজেশ ভাগত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, হংকং-এর বেশকিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ১৫০টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে হংকং অষ্টম স্থানে রয়েছে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, ওষুধ, কৃষি, চামড়া ও পাদুকা, হালকা প্রকৌশল, অটোমোটিভ, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স, অবকাঠামো এবং আর্থিক খাতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।

সেমিনারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইরফান শরীফ অংশগ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর