নতুন পাঁচ সেবা চালু করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
মুদারাবা শিক্ষা সঞ্চয়, প্রবাসী গৃহায়ন সঞ্চয় ও সিনিয়র সিটিজেন মাসিক মুনাফা সঞ্চয় প্রকল্প নামে নতুন তিনটি আমানত প্রকল্প এবং ‘স্বপ্নকুটির’ সেমি পাকা গৃহায়ন ও ‘স্বপ্নবুনন’ শিক্ষা বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছে ব্যাংকটি।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও জে. কিউ. এম. হাবিবুল্লাহ।
অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান।
এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, মো. নাইয়ার আজম, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার আ.ফ.ম. কামালউদ্দিন, মুহাম্মদ শাব্বির, প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরীসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের সব জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুদারাবা শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্পের আওতায় ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তানের নামে তার বৈধ অভিভাবক হিসাব খুলতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য বিনিয়োগ, ১০ ও ১৫ বছর মেয়াদী হিসাবধারীর জন্য স্কলারশিপে অগ্রাধিকারসহ জমার বিপরীতে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কর্জে সুবিধা পাওয়া যাবে।
মুদারাবা প্রবাসী গৃহায়ন সঞ্চয় প্রকল্পে যেকোন প্রবাসী বাংলাদেশি হিসাব খুলতে পারবেন। ভবন নির্মাণ ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন। ৩, ৫, ১০ ও ১৫ বছর মেয়াদে এ হিসাব খোলা যাবে।
৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকরা মুদারাবা সিনিয়র সিটিজেন মাসিক মুনাফা সঞ্চয় প্রকল্পে হিসাব খুলতে পারবেন। এই হিসাবের গ্রাহকরা নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে কার্ডের মাধ্যমে বিল দিতে বিশেষ ছাড়, সঞ্চয়ী হিসাবে অর্ধেক চার্জ ও মূল জমার বিপরীতে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কর্জে হাসানার সুবিধা পাবেন।
মাসিক ৩০ হাজার টাকা ও তদুর্ধ্ব আয়ের গ্রাহকরা স্বপ্নকুটির সেমি পাকা গৃহায়ন বিনিয়োগ প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ নিতে পারবেন। দেশের পল্লী অঞ্চল এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে সীমিত আয়ের মানুষ সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুবিধা পাবেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা সহজ করতে স্বপ্নবুনন শিক্ষা বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করা হয়। ১৮ বছরের বেশি বয়সী এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে অভিভাবকরা এ বিনিয়োগ সুবিধা পাবেন।