বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ওষুধ খাতে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল এর আইপিওর শেয়ার পেতে হলে আবেদন করতে হবে মঙ্গলবার থেকে।
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল এর আইপিওর শেয়ার পেতে হলে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন কর যাবে।
এই সময়ের মধ্যে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ও অনিবাসী বাংলাদেশী নাগরিক এই শেয়ার পেতে আবেদন করতে পারবেন।
এই ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ও অনিবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ১০ হাজার টাকার শেয়ারের পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ১০ হাজার টাকার বেশি বা ১০ হাজার টাকার কম হতে পারবে না।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে শর্ত হলো তালিকাভুক্ত শেয়ারে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে তবেই তারা এই শেয়ারের আইপিও পেতে আবেদন করতে পারবেন।
আর অনিবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে শর্ত হলো তালিকাভুক্ত শেয়ারে ন্যূনতম ১ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে তবেই তারা এই শেয়ারের আইপিও পেতে আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের এই শেয়ারের আইপিও পেতে আবেদন করতে হবে ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে।
গত ৮ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদ দেয়।
এর পরে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল তাদের শেয়ারের দাম নির্ধারেণ করতে নিলামের আয়োজন করে।
নিলামে ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ারের দাম ওঠে ৩৪ টাকা। এই টাকাতেই শেয়ার পাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালের ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪টি শেয়ার কিনে নেয়। এছাড়া নাভানার কর্মচারীদের জন্য ৩৪ টাকায় আরো ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাকি ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৭০০ শেয়ার রাখা হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য। তারা শেয়ারটি পাবেন ২৪ টাকায়।
সব মিলিয়ে ২ কোটি ৭১ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৪টি শেয়ার বিক্রি করে ৭৫ কোটি টাকা তুলবে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল নিবন্ধন পায় ১৯৮৬ সালে। কোম্পানিটি দেশের বাজারের জন্য ও রপ্তানি করার জন্য ওষুধ তৈরী করে। তারা মানুষ ও পশুর জন্য ওষুধ তৈরি করে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোনায়েদ শফিক।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল ২০১৮ সালে মুনাফা করেছে ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ২০১৯ সালে মুনাফা করেছে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০ সালে মুনাফা করেছে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, ২০২১ সালে মুনাফা করেছে ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্টস এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস।