বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে ৫৫টি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ রয়েছে সংস্থাটির। প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে তারা।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে বাস্তবায়নাধীন এসব প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে প্রকল্পগুলো বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের ছয়টি প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এই ছয়টি প্রকল্পকে ‘সমস্যাপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়।
সূত্র জানায়, চলমান ৫৫টি প্রকল্পের মধ্যে কিছু প্রকল্প পাঁচ বছর আগে নেয়া হলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। কিছু প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের কাজটুকুও শেষ হয়নি। আবার কিছু প্রকল্পে পরামর্শকই নিয়োগ হয়নি।
বৈঠকে বলা হয়, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা না থাকলে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া প্রকল্পের কাজে বিলম্ব হলে প্রকল্প পরিচালকদের জবাবদিহি করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নেয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে দু’দিন ধরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর প্রকল্প পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এসব প্রকল্প চার-পাঁচ বছর আগে নেয়া হলেও গড় বাস্তবায়ন ৫০ শতাংশের বেশি নয়। এছাড়া পরামর্শক নিয়োগ, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে না।
সমস্যাকবলিত প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলায়াবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট; এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অফ পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিওন; পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি; ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট পুনঃবিদ্যুতায়ন; পল্লী এলাকায় বিদ্যুতায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ বিতরণ আধুনিকীকরণ কর্মসূচি।
সভায় প্রকল্প পরিচালকেরা এসব প্রকল্পের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এসব জটিলতা কাটিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা হবে।
সভায় ইআরডির পক্ষে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল বাকী এবং বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চ্যান।
প্রথম দিনে ইআরডি সচিব শরীফা খাতুন বক্তব্য দেন।