বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চামড়া খাতে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে। ৯ নভেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ৩ অক্টোবর। সেখানে অনুমোদন পেলে এপেক্স ট্যানারির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ১ টাকা করে পাবেন।
লভ্যাংশ জানানোর দিনে পুরো বছরের মুনাফা বাড়ারও খবর দিয়েছে এপেক্স ট্যানারি।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে এ কোম্পানি প্রতি শেয়ারে ৮২ পয়সা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। আগের বছর এপেক্স ট্যানারির শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৩৪ পয়সা।
এই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে কমে ৬ টাকা ৬২ পয়সা হয়েছে।
বছর শেষে শেয়ারপ্রতি নগদ সম্পদ মূল্য হয়েছে ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৬৩ টাকা ১৭ পয়সা।
এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে এপেক্স ট্যানারির শেয়ারের দাম কমেছে। বৃহস্পতিবার এপেক্স ট্যানারির শেয়ার বিক্রি হয় ১৩১ টাকায়। রোববার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে তা ২ টাকা ৩০ পয়সা কমে ১২৮ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল।
১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এপেক্স ট্যানারি ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকসান হয় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেয়া হয় ১ টাকা ২০ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান হয় ৫২ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেয়া হয় ১ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার।
এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের বর্তমান বাজার মূলধন ১৯৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর রিজার্ভের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।