জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত আসবে শিগগির।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের পক্ষাগাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
দাম কোন প্রক্রিয়ায় কমানো হবে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে কমার পক্ষে আমি। লাফ দিয়ে বাড়া, লাফ দিয়ে কমা ভালো নয়। মাসে, দেড় মাসে একবার এভাবে কমাতে হবে। দিনক্ষণ নিয়ে বলার অবস্থানে আমি নই, বলতে পারব না। তবে সার্বিকভাবে বলছি, কমবে।’
গত ৫ আগস্ট তেলের দর ৪১ থেকে ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়। তখন ডিজেল ও কেরসিনের দর লিটারে ৩৪ টাকা বেড়ে হয় ১১৪ টাকা, পেট্রলের দর ৪৪ টাকা বেড়ে হয় দাঁড়ায় ১২৯ টাকা আর অকটেনের দর ৪৬ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৫ টাকা।
এক লাফে দর বেড়ে যাওয়ার পর বাস ও ট্রাক ভাড়া বেড়ে গিয়ে পণ্যের দর অনেকটাই বেড়ে যায়।
পরে তীব্র সমালোচনার মধ্যে ২৯ আগস্ট লিটারে পাঁচ টাকা করে কমানো হয়। তবে তেলের দাম যে হারে কমানো হয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব কমা ছাড়া জনগণের তেমন কোনো উপকার হয়নি। বাসের ভাড়া কিলোমিটারে ৫ পয়সা কমানো হলেও কার্যত ভাড়া কোথাও কমেনি। এক টাকা ভাড়া কমবে যদি কোনো যাত্রী ২০ কিলোমিটার যান। তবে বাস ভাড়ায় এখন এক টাকার ব্যবহার নেই বললেই চলে। এক শ কিলোমিটার দূরত্বে গেলেই কেবল পাঁচ টাকা ভাড়া কমার কথা।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম কমছে। ডিজেলের দাম কমেছে, শিগগিরই আরও কমবে। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে আমরা বাড়াই, কমলে কমাই। এবার দামটা হঠাৎ বেশি পরিমাণ বেড়েছে, এতে সমস্যাও বেশি হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার অবহিত আছে।
‘সরকার যে দাম কমাতে চায়, তার নির্দেশনা আপনারা পেয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তারা আবার সমন্বয় করবে। আমি বিশ্বাস করি, সরকার দাম আরও কমাবে। আপাতত স্ট্যাবল অবস্থায় আছে ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধ। তাইওয়ানে হয়েও হয় নাই। আশা করছি, পরিবেশ উন্নত হবে।’