বিষয়টা বিস্ময়কর হলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এটি একটি নিয়মিত ঘটনা।
তালিকাভুক্ত বেশি কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডই তার ইউনিটের সম্পদমূল্যের তুলনায় অর্ধেক বা তার চেয়ে বেশি কমে লেনদেন হচ্ছে। অথচ এটি সম্পদমূল্যের বেশি বা কাছাকাছি লেনদেন হওয়াই সমীচীন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের চিত্র তাই।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দরই এখন ইউনিটমূল্যের কমে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আটটি ফান্ডের দর সম্পদমূল্যের অর্ধেকের কম বা অর্ধেকের কাছাকাছি। তিনটি ফান্ডের দর সম্পদূল্যের তুলনায় ৪০ শতাংশের বেশি কম। আটটির দর ৩০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি কম।
২০১০ সালের মহাধসের পর মাঝে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছর বাদ দিলে বাকি সময় মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ আহামরি কিছু ছিল না। এর কারণ, পুঁজিবাজারের পতনে পর্যাপ্ত আয় না হওয়া।
তবে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দিয়েছে, তাতে তালিকাভুক্ত ও পুঁজিবাজারের বাইরের মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর আয় বাড়ে ব্যাপক হারে। সেই সঙ্গে বাড়ে লভ্যাংশ।
তবে দারুণ লভ্যাংশের পর চলতি বছর বাজার ধসের মধ্যে ফান্ডগুলো তাদের আয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি। এতে ফান্ডগুলো দর হারিয়েছে অনেকটাই। ফলে গত বছর ভালো লভ্যাংশ নিয়েও বিনিয়োগকারীরা লোকসানে আছেন।
তবে গত এক বছরে বাজারে মন্দাভাবের মধ্যেও জুনে অর্থবছর সমাপ্ত বেশিরভাগ ফান্ডই তার ইউনিটমূল্যের তুলনায় এত ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে যে, ডিভিডেন্ড ইল্ড যে কোনো সঞ্চয়ী স্কিমের চেয়ে ভালো।
বেশিরভাগ ফান্ডই এখন তার ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি লেনদেন হচ্ছে। ফলে যে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে, তা অনেকাংশেই ফ্রি হয়ে যাবে।
বিষয়টি দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ক্ষেত্রে। প্রায় সব কটি ফান্ড ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছিল।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও চাইছে এই ফান্ডগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে। বর্তমানে ১৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে পুঁজিবাজার ও বাইরে। এটি দেড় লাখ কোটি টাকায় নিতে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে বিএসইসি।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ভালো করতে পারে না- এমন একটি ধারণার মধ্যে চলতি বছর এগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলে দেখা যায়, এই ধারণা সঠিক নয়।
২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর সার্বিক সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট, যা অর্থবছর শেষে গত ৩০ জুন ছিল ৬ হাজার ৩৭৬ পয়েন্ট। এক বছরে বেড়েছে ২.৫২ শতাংশ। তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীরা লভ্যাংশ পেয়েছেন এর চেয়ে অনেক বেশি।
কেবল এই পরিসংখ্যানে বোঝা যাবে না, গত এক বছরে পুঁজিবাজারে কতটা কঠিন সময় গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইসির সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার ৩০০ পয়েন্ট পেরিয়ে যখন ৮ হাজারের পথে ছোটার স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল, তখন শুরু হয় দীর্ঘ দর সংশোধন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বাজার আপন গতিতে ফেরার আশা তৈরি করেও শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা সিদ্ধান্ত, এরপর ইউক্রেনে রুশ হামলার পর অর্থনীতির চাপে পড়ার মধ্যে বাজারে নামে ধস।
এই বাজার ধসের মধ্যেও জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ডই এবার আশাহত করেনি। এমনকি বাজার দরে ৭ টাকা ২০ পয়সা, এমন ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ১ টাকা ১০ পয়সা, বাজারদর ৯ টাকা ৮০ পয়সা, এমন ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ১ টাকা ৫০ পয়সা।
কেন এমন হচ্ছেমিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকার তিনটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, একটি কারণ হতে পারে বিনিয়োগকারীরা হয়ত সম্পদমূল্যের বিষয়টি আস্থা রাখছে না। তিনি বলেন, ‘আমি বিনিয়োগ করতে হলে বিবেচনায় নেব যে, এই নেট অ্যাসেট ভ্যালুর আন্ডারলাইনে কী সম্পদ আছে? সে ভালো জিনিস কিনে রেখেছে নাকি বিশ শতাংশ চলে যাবে এরকম কিছু কিনেছে।’
তিনি দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন নিয়মিতভাবে লভ্যাংশ না পাওয়া।
শাকিল রিজভী বলেন, ‘যদি এমন হতো এবার দশ শতাংশ দিয়েছে, পরেরবার ১১, তারপরে ১৫ দিচ্ছে, তাহলে আস্থা থাকত। কিন্তু দেখা যায়, এবার ১০ দিয়ে পরের বার নাই। তার পরের বার থেকে ধারাবাহিকতা থাকে না।
তবে এ বছর ফ্লোর প্রাইসের কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা অন্যবারের চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভবান হবেন বলে মনে করেন তিনি। বলেন, 'আমাদের দেশে ঘোষিত লভ্যাংশের পুরোটা সমন্বয় হয়, কিন্তু ফ্লোর প্রাইজের কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ পুরোটা সমন্বয় হতে পারবে না। এছাড়াও ফান্ডটি যদি ভালো পারফর্ম করে এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি সুযোগ রয়েছে।'
বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ' একটা শেয়ারের এনএভি ১২ টাকা তারপরও মানুষ ৭ টাকায় কিনতে চায় না কেন? কারণ, এটার বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সঠিক বিনিয়োগ সম্পর্কে জানে না তাই রিস্ক নেয় না, এই আরকি।'
সম্পদের অর্ধেক দরে যেসব ফান্ড
এই তালিকার শীর্ষে আছে এফবিএফআইএফ
ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ২৭ পয়সা। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরে দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় দাম এর ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম।
ফান্ডটি এবার ইউনিটে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। রেকর্ড ডেট শেষে দাম ৪০ পয়সা কমায় বিনিয়োগকারীর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২০ পয়সা।
এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
বর্তমানে ইউনিটের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ১৭ পয়সা। বিপরীতে ইউনিট মূল্য ৫ টাকা ২০ পয়সা।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর কম ৫৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি ৭ শতাংশ বা ইউনিট প্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
ফলে রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমতে পেরেছে ৪০ পয়সা। ফলে বিনিয়োগকারী ৩০ পয়সা মুনাফা পেয়েছেন প্রতি ইউনিটে।
পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
১০ টাকা ৮৬ পয়সা সম্পদমূল্যের বিপরীতে ফান্ডটির বাজারদর ৫ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিটের বাজারদর কম ৫৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ৩৪ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। রেকর্ড ডেটের পর ৪০ পয়সা দর কমেছে। ফলে বিনিয়োগকারীর লাভ হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা।
আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির ইউনিটমূল্য এখন ৫ টাকা ১০ পয়সা। আর সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৮২ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের ৫২ দশমিক ৮৬ শতাংশে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।
ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা আয় হলেও ফান্ডটির বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। রেকর্ড ডেটের পর দাম কমেছে ৫০ পয়সা। ফলে ২০ পয়সা লাভ হয়েছে বিনিয়োগকারীর।
পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে ৫ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে প্রতি ইউনিট। বিপরীতে ইউনিট প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮৭ পয়সায়। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় বাজারদর কম ৫২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটি। রেকর্ড ডেট শেষে দর কমেছে ৪০ পয়সা। ফলে ইউনিটধারীরা ৩০ পয়সা লাভে আছেন।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে বুধবার প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সায়। এর সম্পদমূল্য দ্বিগুণেরও বেশি, ১১ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজারদর কম ৫০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এই ফান্ডটিও এবার ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৩০ পয়সা। ফলে ইউনিটের বিপরীতে মুনাফা ৪০ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৫ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু প্রতি ইউনিটের বিপরীতে সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সায়।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৪৮ দশমিক ২১ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। এটিরও রেকর্ড ডেট ছিল মঙ্গলবার। রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৩০ পয়সা। ফলে ৪০ পয়সা মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীর।
এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির ইউনিট বর্তমানে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে বলে দর কমার সুযোগ নেই। ৬ টাকা ৬০ পয়সার বিপরীতে সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৭ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে যাওয়া যাচ্ছে একেকটি ইউনিট।
এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় মার্চে। গত মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।
৪০ শতাংশের বেশি কমে যেগুলো
ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের বিপরীতে সম্পদ রয়েছে ১১ টাকা ৬১ পয়সা। অথচ লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের আগের দিন সোমবার লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।
ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২২ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১ টাকা ১০ পয়সা। রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৭০ পয়সা। ফলে ৪০ পয়সা মুনাফা পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু বাজার দর ৬ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট মূল্য কম ৪২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। রেকর্ড ডেট শেষে কমতে পেরেছে ৩০ পয়সা। ফলে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হলো ৪০ পয়সা।এলআর গ্লোবাল ওয়ান ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের বিপরীতে সম্পদ রয়েছে ১১ টাকা ৯ পয়সার। কিন্তু বাজারদর ৬ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে পাওয়া পাচ্ছে।
এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। গত সেপ্টেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত নয় মাসে ইউনিটপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১২ পয়সার কিছু বেশি। যদিও এই সময়ে বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে আর ১০ পয়সা দর কমতে পারবে।
৩০ শতাংশের বেশি কমে যেগুলো
এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির বর্তমান বাজারমূল্য ৭ টাকা ১০ পয়সার বিপরীতে সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ কমে পাওয়া যাচ্ছে।
এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে দরপতনের মধ্যেও ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৬ পয়সার বেশি আয় করেছে।
এই ফান্ডটি গত ডিসেম্বরে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৮০ পয়সা।
গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড
সোমবার রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল। সেদিন ইউনিট দর ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। এর ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে এসেছে মঙ্গলবার।
ফান্ডটি এবার ইউনিট প্রতি ৭২ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ৭০ পয়সা। ফলে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা।ফান্ডটির বর্তমান সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৭৯ পয়সা। বর্তমান বাজারদর এর সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কম।
আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৯৬ পয়সা অথচ কেনা যাচ্ছে ৬ টাকা ৪০ পয়সায়, অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে। গত অর্থবছরের জন্য আয়ের প্রায় সমান লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। ৩৯ পয়সা আয় হলেও এক পয়সা বাড়িয়ে ৪০ পয়সা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ফান্ডের ট্রাস্টি।
সোমবার ছিল রেকর্ড ডেট। তার আগে যাদের পোর্টফোলিওতে এই ফান্ড ছিল তারা অন্তত ২০ পয়সা মুনাফা করতে পেরেছেন। কারণ, সমন্বয়ের পরে দর কমতে পেরেছে ২০ পয়সা।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় সেপ্টেম্বরে। জুন পর্যন্ত ফান্ডটির কোনো আয় নেই, কোনো লোকসানও নেই। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ফান্ডটির বর্তমান দর ৭ টাকা ৫০ পয়সা আর সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজারদর কম ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
ফান্ডটির ইউনিটের ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৩০ পয়সা হওয়ায় আর ২০ পয়সা দর কমতে পারবে।
ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এটির ইউনিটদর ৬ টাকা ৯০ পয়সা। আর এর সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ২ পয়সা।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।
প্রতি ইউনিটের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে ৭০ পয়সায়। রেকর্ড ডেট শেষে কমেছে ৪০ পয়সা। বিনিয়োগকারীর লাভ ৩০ পয়সা।
আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৫০ পয়সা, লেনদেন হচ্ছে এই দরেই। অথচ ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় বাজার মূল্য কম ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমতে পেরেছে ২০ পয়সা। তবে লভ্যাংশ এসেছে ৫০ পয়সা। যারা রেকর্ড ডেটের আগে ফান্ডটি কিনেছেন তারা ইউনিটে ৩০ পয়সা লাভ পেয়েছেন।
ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির দর ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৪০ পয়সায় অবস্থান করছে। বিপরীতে প্রতি ইউনিটের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬১ পয়সায়। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজারদর কম ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১২ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছর একই সময় মুনাফা ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
ওই বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল ফান্ডটি।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
সম্পদ মূল্য ১০ টাকা ৬১ পয়সার বিপরীতে সোমবার লেনদেন হয়েছে ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৪০ পয়সায়।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ইউনিট প্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। এটিরও রেকর্ড ডেট ছিল মঙ্গলবার। যেহেতু ফ্লোর প্রাইসে আছে, তাই দাম কমতে পারেনি।
২০ শতাংশের বেশি কমে যেগুলো
আইসিবি এমপ্লয়ি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির বাজার মূল্য ৭ টাকা ১০ পয়সা। রেকর্ড ডেট শেষে ১০ পয়সা কমে এটি ফ্লোর প্রাইসেই আছে।
ফান্ডটি জুনে সমাপ্ত অর্থবছর শেষে ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে। রেকর্ড ডেট শেষে ১০ পয়সা দর কমায় বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ৪০ পয়সা।
এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১০ টাকা ১০ পয়সা। এই হিসেবে বাজারদর কম ২৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১৬ পয়সায়। অথচ সম্পদ মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন টাকা কম মূল্যে ৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর কম ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৩০ পয়সা। এর অর্থবছর শেষ হয় মার্চে। চলতি বছর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বাজার ধসের মধ্যেও তারা ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৮ পয়সা মুনাফা করেছে। গত মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি এক টাকা মুনাফা দিয়েছে ফান্ডটি।
রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮০ পয়সা। তবে সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে ইউনিট দর কম ২৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১ পয়সা আয়ের বিপরীতে ১ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রেকর্ড ডেটের পরে দর সমন্বয়েও বিনিয়োগকারীর মুনাফা ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা।
এসএমইএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে দুই দিনে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা।
বর্তমান দর ফ্লোর প্রাইস ৮ টাকা ৪০ পয়সায়। বিপরীতে প্রতি ইউনিটে সম্পদমূল্য আছে ১১ টাকা ৫১ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজার দর কম ২৭ দশমিক ০১ শতাংশ।
গত অর্থবছরের জন্য ১ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটি। দর সমন্বয়ের পর বিনিয়োগকারীর অবশ্য মুনাফা থাকেনি। কেবল ১০ পয়সা থাকবে।
গ্রামীণ টু
এই ফান্ডটির দরও সম্পদমূল্যের অনেক কমে কেনার সুযোগ রয়েছে। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর ইউনিট দর হয়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সায়, অথচ সম্পদমূল্য ২০ টাকা ৬৭ পয়সা।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
আয়ের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ প্র্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফান্ডের ট্রাস্টি। ১ টাকা ৩৪ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১ টাকা ৫০ পয়সা।
ফ্লোর প্রাইসে নামার পর ফান্ডের ইউনিট দর হারিয়েছে ৯০ পয়সা। ফলে ৬০ পয়সা লাভে বিনিয়োগকারী।
প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড
৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হওয়া ফান্ডটির সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা। ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস বাজারমূল্যের সমান। ফলে রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমতে পারেনি। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে দাম কম ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে আয়ের সমান অর্থাৎ ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। সোমবার ছিল ফান্ডটির রেকর্ড ডেট। অর্থাৎ দর সংশোধনের সুযোগ না থাকায় পুরো লভ্যাংশ খাতায় যোগ হয়েছে বিনিয়োগকারীর হিসাবে।
আইসিবি সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটি ৭ টাকা ৮০ পয়সা অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইসেই লেনদেন হচ্ছে। তবে সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারদর কম ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ পাবেন। রেকর্ড ডেটের পর এর দাম কমতে পারেনি। ফলে লভ্যাংশের পুরোটাই ঘরে তুলতে পেরেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এসএমইএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড
১০ টাকা ৮৭ পয়সার সম্পদ থাকলেও ইউনিটের বাজার মূল্য ৮ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের তুলনায় ইউনিটদর কম ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এই ফান্ডেরও রেকর্ড ডেট ছিল রোববার। ৫২ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ৬০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়ায় এটির দর কমতে পারেনি। ফলে লভ্যাংশ কম দিলেও পুরোটাই মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীর।
সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড
সম্পদমূল্যের চেয়ে আড়াই টাকার বেশি কমে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটির প্রতি ইউনিট। বর্তমানে ফান্ডটির সম্পদমূল্য প্রতি ইউনিটে ১২ টাকা ৬৭ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস ১০ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। ফলে এর চেয়ে দর কমার সুযোগ নেই।
অর্থাৎ ফান্ডটির সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর কম ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ফান্ডটি জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর।
আইসিবি অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির সর্বশেষ দর ৯ টাকা ২০ পয়সা। একেকটির বিপরীতে সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫৩ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির বাজারদর এর সম্পদমূল্যের চেয়ে ২০ দশমিক ২০ শতাংশ কম।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির আয় হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। সেখান থেকে ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস ৯ টাকা ২০ পয়সা হওয়ায় রেকর্ড ডেটের আগের দর ৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০ পয়সা কমতে পেরেছে। ফলে ৭০ পয়সা মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীর।
১০ শতাংশের বেশি কম
আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড
প্রতি ইউনিটে ১১ টাকা ৮ পয়সার সম্পদের বিপরীতে বাজারমূল্য ৮ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ এই ফান্ডটির বাজারদর এর সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম।
সোমবার রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল। তার আগে যারা ইউনিট কিনেছিল তারা লভ্যাংশ পাবেন ৬০ পয়সা করে।
এর ফ্লোর প্রাইস ৮ টাকা ৭০ পয়সা। দর সংশোধন হয়েছে ২০ পয়সা। বিনিয়োগকারীর লাভ হয়েছে ৪০ পয়সা।
এসএমইএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড
ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৭৯ পয়সা হলেও বর্তমান বাজার দর ৯ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজার দর কম ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ৫০ পয়সা। রেকর্ড ডেটের আগে দর বর্তমান দরেই ছিল। দর কমতে না পারায় লভ্যাংশের পুরোটাই মুনাফা হয়েছে।
এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড
ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য ১০ টাকা ৯৭ পয়সায়। পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৭০ পয়সায়, ফ্লোর প্রাইসও তাই।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে ইউনিট।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে থাকায় দাম কমতে পারেনি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে কেবল তিনটির ইউনিট মূল্য এর সম্পদমূল্যের চেয়ে বেশি
তিনটি ফান্ডের সম্পদের চেয়ে ইউনিটদর বেশি
ফার্স্ট প্রাইম ফাইনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড
আইসিবি পরিচালিত এই ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদূমূল্যের চেয়ে বাজারদর বরাবর বেশি থাকে।
বর্তমানে ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ১৪ টাকা ৬৫ পয়সার। কিন্তু বাজার দর ১৭ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর বেশি ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।
ডিসেম্বরে অর্থবছর সমাপ্ত হবে এই ফান্ডটির। এর ফ্লোর প্রাইস ১৭ টাকা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পড়তি বাজারেও ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২১ পয়সা মুনাফা করেছে।
সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৩১ পয়সার বিপরীতে লেনদেন হচ্ছে ১৪ টাকা ২০ পয়সা, যা ইউনিটটির ফ্লোর প্রাইসও।
এই ফান্ডটির সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিটদর বেশি ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ফান্ডটি জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর।
ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এর বর্তমান ইউনিটদর ১০ টাকা ৬০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসও একই। ফান্ডটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর বেশি ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি আয়ের সমান ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। যার রেকর্ড ডেট ছিল সোমবার। রেকর্ড ডেটের আগেও বর্তমান দরেই লেনদেন হয়েছে। ফলে যারা ইউনিট ধরে রেখেছিলেন, তারা তারা লভ্যাংশের পুরোটাই তুলে নিতে পেরেছেন।