বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আয়কর রিটার্ন দ্বিগুণ করতে চায় এনবিআর

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:১৩

এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগে শুধু টিআইএন দেখিয়ে জমি, ফ্ল্যাট নিবন্ধন, গাড়ি কেনাসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যেত। কিন্তু তাদের অনেকেই রিটার্ন জমা দেন না। সেজন্য সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএনের সঙ্গে রিটার্নের দলিলাদি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে এবার রিটার্নের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

রাজধানী ঢাকার তালতলার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম সম্প্রতি জমি বিক্রি করে দশ লাখ টাকা পেয়েছেন। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সঞ্চয়পত্র কেনার কথা ভাবছেন তিনি।

সে উদ্দেশ্যে সঞ্চয় ব্যুরো অফিসে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে এর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে তাকে আয়কর রিটার্ন জমার কপি দিতে হবে। অথচ তার করযোগ্য আয় নেই।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এমন ৩৮ ধরনের সেবা নিতে হলে আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতোদিন এসব সেবা নিতে গেলে শুধু টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে হতো। কিন্তু এখন টিআইএনের সঙ্গে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রও দিতে হবে।

সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে এই নিয়ম করা হয়েছে কর জাল বাড়ানোর জন্য, যাতে করযোগ্যরা নিয়মিত কর দেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২৪ লাখ লোক বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। চলতি বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এনবিআরের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে শুধু করদাতা শণাক্তকরণ নম্বার –টিআইএন দেখিয়ে জমি, ফ্ল্যাট নিবন্ধন, গাড়ি কেনাসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যেত। দেখা গেছে, সেবাগ্রহীতাদের অনেকেই রিটার্ন জমা দেন না। অথচ তাদের কর দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে। সেজন্য সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএনের সঙ্গে রিটার্নের দলিলাদি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে এবার রিটার্নের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ হবে বলে আমরা আশা করছি।’

রাজস্ব বোর্ডের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা ৭৬ লাখ। গত করবর্ষে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে মোট রিটার্ন জমা হয়েছে ২৪ লাখ। সে হিসাবে ৬৮ শতাংশ টিআইএনধারীই রিটার্ন জমা দেননি।

আলী হোসেন একজন ব্যবসায়ী। বসুন্ধরা শপিংমলে তার একটি কাপড়ের শো-রুম আছে। ধরে নেয়া হয় তার করযোগ্য আয় আছে। এ বছর তিনি আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন। আইন অনুযায়ী, রিটার্নের সঙ্গে তাকে ব্যবসার আয়-ব্যয়ের বিবরণী জমা দিতে হবে।

রহমান শেখ একটি বেসরকারি ব্যাংকে উচ্চ পদে চাকরি করেন। রিটার্নের সঙ্গে তাকে বেতন বিবরণী, ব্যাংকে এফডিআর থাকলে তার বিবরণী ও কোনো খাতে বিনিয়োগ থাকলে তার প্রমাণ দেখাতে হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে এসব প্রমাণ সংগ্রহ করে না রাখে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে। একইসঙ্গে বেশি হারে কর কেটে রাখা হবে।

দেশে সাড়ে ষোল কোটি জনসংখ্যা থাকলেও নিয়মিত কর দেন মাত্র ১ শতাংশ। কতসংখ্যক মানুষের কর দেয়ার সামর্থ্য আছে তার কোনো সঠিক হিসাব এনবিআরে নেই। তবে মাথাপিছু আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বিচারে বর্তমানে দেড় কোটি লোকের করযোগ্য আয় আছে বলে এনবিআর মনে করে। বাস্তবতা হচ্ছে, করযোগ্য এসব ব্যক্তির বেশিরভাগই এখনও করের আওতার বাইরে।

এ বিভাগের আরো খবর