বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের চতুর্থ চালান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে গেল আসামে

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:৪৫

কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে শনিবার রওনা দেয় জাহাজটি। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার ভোর ৪টার দিকে চালানটি আসামের উদ্দেশে সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশ–ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় পণ্যের পরীক্ষামূলক চতুর্থ চালান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সড়কপথে ভারতের আসামে গেছে।

২৫ টন রডের (ইস্পাত) এই চালান খালাসের পর সড়কপথে সিলেটের শ্যাওলা হয়ে সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ট্রানজিট পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় ভারতের জাহাজ এমভি ট্রান্স সামুদ্রা। জাহাজটি বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল জেটিতে ভেরানো হয়। রাতেই পণ্যগুলো খালাস করে ভোরে সড়কপথে আসামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে শনিবার রওনা দেয় জাহাজটি। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার ভোর ৪টার দিকে চালানটি আসামের উদ্দেশে সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিরতি পথে ভারতের ডাউকি এলসি স্টেশন থেকে একটি চা-পাতার চালান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সমুদ্রপথে কলকাতায় নেয়ার কথা রয়েছে। এটাই ট্রানজিট চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলক শেষ চালান হবে।

ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বিবেচনায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারত ট্রানজিট চুক্তি করে। এই চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অফ গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)’ নামের ওই চুক্তির আওতায় এই ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চালান আনা-নেয়া) চলছে।

চুক্তির পর প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। তখন কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী ছোট জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্থলপথে পণ্য আগরতলা নেয়া হয়। জাহাজে পণ্য ছিল ডাল ও রড। কিন্তু করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় গত চার বছরে এ চুক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

পরে ভারতের পক্ষ থেকে চারটি রুটে ট্রায়াল রানের অনুমতি চাওয়া হয়ছিল। আপাতত দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ।

সবশেষ গত ৭ আগস্ট ১৬ টন লোহার পাইপ মোংলা বন্দর ব্যবহার করে তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে নেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর