প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজনের অংশ ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রপ্তানিকারকেরা নিজ হিসাবে ৩০ দিন পর্যন্ত ডলার ধরে রাখতে পারবেন, যা দিয়ে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রসহ অন্যান্য আমদানি দায় শোধ করা যাবে।
একইসঙ্গে সংরক্ষণ করা ওই ডলার অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে তা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রিন্সিপাল অফিসে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের মূল্য সংযোজন অংশ ৩০ দিন বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের সুযোগসহ অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করা যাবে। এ তহবিল দ্বারা অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত আমদানি দায় এবং বাল্ক আকারে আমদানি বাবদ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) দায় পরিশোধ করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে ২৯ মে নির্দেশনা দিয়েছিল, প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজনের অংশ পরবর্তী কর্মদিবসে নগদায়ন করতে হবে। ৩ আগস্ট এ সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়েছিল। সবশেষ নির্দেশনায় এই সময় বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী রপ্তানিকারক অন্য ব্যাংকের আমদানি দায় বিনিময়জনিত ক্ষতি ছাড়াই নিজের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে পরিশাধ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যে দামে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে অনেকে লোকসানের মুখে পড়ছেন। এ কারণে ডলার ধরে রাখার সময়সীমা সুযোগ বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।