বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারিভাবে আসছে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৪৫

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম এবং ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন এবং মিয়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করব। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ মজুত আছে আমাদের। ফলে দাম কমতির দিকে রয়েছে। সামনে আরও কমে যাবে।’

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম এবং ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন এবং মিয়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করব। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ মজুত আছে আমাদের। ফলে দাম কমতির দিকে রয়েছে। সামনে আরও কমে যাবে।

‘সরকারিভাবে আমরা আরও চাল কিনব। এই অর্থবছরে ১০ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে। এ বছর জলবায়ু পরিস্থিতি খারাপ হলে আমন সংগ্রহ কম হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তবে আমাদের গম নিয়ে যে সংকট ছিল, সেটা কেটে গেছে। আমাদের বছরে ৭ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন আসবে, পাইপ লাইনে রয়েছে এক লাখ টন এবং গুদামে মজুত আছে এক লাখ ৩০ হাজার টন গম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকার কারণে ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করি কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমার বিশ্বাস।’

‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন ভারত থেকে চাল কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য ইতোমধ্যে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজকালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও ২ লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব আগামীকাল ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে।’

তিনি জানান, ভিয়েতনাম থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৫২১ ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ ডলার করে পড়বে। আর ভারত থেকে প্রতি টন চাল আনতে খরচ হবে ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার।

সরকারিভাবে আরও চাল কেনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ এবার প্রকৃতির অবস্থা খারাপ। আমনের ফলন কম হতে পারে। খরাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হলো এটা।’

যতদিন দরকার ওএমএস কার্যক্রম

বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে ৫ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখব।’

ওএমএস কার্যক্রমের কারণে চালের দাম নিম্নমুখী বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা মনিটর করছি। জরিমানা থেকে আরম্ভ করে ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে। কারও কারও হাইকোর্ট থেকে জামিনও নিতে হয়েছে৷ আমরা একেবারে মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখি না, তা নয়। আমরা প্রচুর পরিমাণে মনিটর করছি, কিন্তু আপনাদের কাছে আমি যে অনুরোধ প্রতিদিনই করি, দোষীটা কে?

‘মিলগেট, পাইকারি এবং খুচরা, আপনারা যদি তিনটা জায়গায় যান, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। একটা খুচরা মার্কেটে দেখেন যে, একদম তার ছাদ পর্যন্ত ঠেকিয়ে চাল আছে৷ ধরলে বলে যে মিলের সিন্ডিকেট। মধ্যস্বত্বের কথা কেউ বলে না। আপনারা বাবু বাজারে কেউ যান না, পাইকারি বাজারে যান না৷ অতএব আপনাদের আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, তিনটা জায়গাতে গিয়ে আপনারা যদি একটু ধরিয়ে দেন, আমরা অ্যাকশন নিতে পারি কি না পারি সেটা দেখেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।’

বিগত বোরো মৌসুমে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টন সিদ্ধ চাল চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আতপ চাল ৫০ হাজারের জায়গায় ৫৫ হাজার ২০৮ টন আমরা সংগ্রহ করেছি। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যতটুকু বেশি পেরেছি আমরা কিনেছি, কিন্তু ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আমরা ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন কিনতে পেরেছি।

‘ধানটাও আমরা নিরাপত্তা মজুতের জন্য কিনে থাকি। ধানটা রাখা হয় এ জন্য যে, বাজারে যদি ধানের দাম কমে যায়, কৃষকরা যেন বিপদে না পড়ে। সরকার যদি ধানের বাজারে থাকে, তাহলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনতে পারবে না, তবে আমাদের রেটের চেয়েও কৃষকরা বাজারে বেশি দাম পেয়েছে। এ জন্য ধানটা আমরা শতভাগ কিনতে পারিনি।’

চালের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে—বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশন আলাপ-আলোচনা করে যদি মনে করে ঠিক আছে, আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর