এখন থেকে ছুটির দিনে যখন ব্যাংক সেবা বন্ধ থাকবে তখন এমএফএস এর ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের এজেন্টের কাছ থেকে ই-মানি নিয়ে নগদ অর্থ এবং নগদ টাকার বিনিময়ে ই-মানি সরবরাহ করতে পারবে। তবে একদিনে গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবেন না।
সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ডিস্ট্রিবিউটরদের ই-মানি এবং নগদ অর্থ লেনদেন করার সুযোগ দিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এমএফএসপি) কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটির দিন ব্যাংক সেবা বন্ধ থাকার সময়ে এমএফএস ডিস্ট্রিবিউটররা ই-মানি লিফটিং (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ জমার বিপরীতে ই-মানি গ্রহণ) বা ই-মানি রিফান্ড (ই-মানি ফেরত দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে নগদ অর্থ উত্তোলন) করতে পারে না। ফলে এমএফএস এজেন্ট পয়েন্টে নগদ অর্থ এবং ই-মানির সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। যার কারণে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছেন না।
এ সমস্যা সমাধানে সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটির দিনে এমএফএস এ পর্যাপ্ত নগদ অর্থ এবং ই-মানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডাররা আন্তঃডিস্ট্রিবিউটর ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে আন্তঃডিস্ট্রিবিউটর ই-মানি এবং নগদ অর্থ স্থানান্তরের ব্যবস্থা চালু করতে পারবে।
এ সংক্রান্ত্র নীতিমালায় বলা হয়, শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারি ছুটির দিনে ব্যাংকিং সার্ভিস বন্ধকালীন সময়ে আন্তঃডিস্ট্রিবিউটর ‘ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট’ সংক্রান্ত লেনদেন করা যাবে। এ প্রক্রিয়ায় সব লেনদেন ডিজিটালি করতে হবে।
একজন ডিস্ট্রিবিউটর একদিনে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার সমপরিমাণ লেনদেন (ই-মানি লিফটিং এবং ক্যাশ/নগদ অর্থ রিফান্ড একত্রিতভাবে) করতে পারবেন।
ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রণের জন্য ডিস্ট্রিবিউটরদের সংশ্লিষ্ট এমএফএসপির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। বিদ্যমান চুক্তি সংশোধনেরর মাধ্যমেও চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকবে।
ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্বাধীনভাবে এ ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবেন এবং কোনো পক্ষের এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
এ প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়েই সংশ্লিষ্ট এমএফএসপির ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট এর ব্যবহার বা সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
লিফটিং ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক রিফান্ড ডিস্ট্রিবিউটরের নিকট হস্তাস্তরের জন্য নগদ অর্থ/ক্যাশ টাকা পরিবহন সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের সমস্যার (টাকা হারিয়ে যাওয়া, চুরি হওয়া, ছিনতাই, তহবিল তসরুফ ইত্যাদি) বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লিফটিং ডিস্ট্রিবিউটর এর কাছ থেকে নগদ অর্থ সঠিকভাবে গুনে, জাল নোট বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
'ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট' প্রক্রিয়াটি পরিচালনা ও ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ প্রয়োজনীয় সকল ধরণের মনিটরিং এবং সুপারভিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট এমএফএস প্রোভাইডারকে নিশ্চিত করতে হবে।
এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।