আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ৪৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে পাকিস্তান।
দেশটিতে চলতি বছরের আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৩ শতাংশে।
পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিবিএস) প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের ডেটা অনুযায়ী, এ বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১৯৭৫ সালের পর সর্বোচ্চ। রেকর্ড রাখা শুরুর ওই বছরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ২৭.৮ শতাংশ।
দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলমান বন্যা এবং এর ফলে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার প্রভাব দেখা যাবে সেপ্টেম্বরের হিসাবে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি আগস্টের চেয়েও বেশি হতে পারে।
পেট্রলের দাম ৮৪ শতাংশ বাড়ায় আগস্টে সর্বোচ্চ ৬৩ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়া পচনশীল খাদ্যপণ্যে গড় মূল্যস্ফীতি এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
গত মাসে পাকিস্তানে বিদ্যুতের দাম এক বছরের আগের তুলনায় বেড়েছে ১২৩ শতাংশ। শুল্ক বৃদ্ধি ও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের কারণে বিদ্যুতের দামের এ উল্লম্ফনের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে।
আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিটারে পেট্রলের ওপর শুল্ক ৩০ রুপি বাড়ানোর কথা ছিল পাকিস্তানের। একই সঙ্গে তিন ধাপে প্রতি লিটার ডিজেলে ১৫ রুপি শুল্ক বাড়ানোর কথা দেশটির, তবে বুধবার সরকার পেট্রলে লিটারপ্রতি শুল্ক সাড়ে ৩৭ রুপি বাড়িয়ে দেয়।
কৌশলগত পণ্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয় অন্য সব পণ্যের। সব দেশের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে।