বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ লাখ ভ্যাট মেশিন বসাবে এনবিআর

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ২২:২১

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয়। ঠিকমতো নজর দিলে এ খাত থেকে আদায় কয়েক গুণ বাড়বে। এটা সম্ভব হবে যদি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে মেশিনের আওতায় আনা যায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিন লাখ ইউএফডি কেনার দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসব মেশিন বসাবে এনবিআর। এ জন্য শিগগিরই দরপত্র ডাকা হবে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ জোরদার করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এর অংশ হিসেবে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস-ইএফডি বা ভ্যাট মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এনবিআরের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিন লাখ মেশিন লাগবে।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, তিন লাখ ইউএফডি কেনার দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসব মেশিন বসাবে এনবিআর। এ জন্য শিগগিরই দরপত্র ডাকা হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী পাঁচ বছরে সারা দেশের যোগ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসব মেশিন বসানো হবে। প্রথমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে বসানো হবে এসব মেশিন। তারপর প্রয়োজন বুঝে অন্যান্য শহরে তা চালু করা হবে।

ইএফডি হচ্ছে এক ধরনের হিসাব যন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের টাকার হিসাব এনবিআরের মূল সার্ভারে চলে যাবে। এ ব্যবস্থায় তথ্য গোপন বন্ধ হবে এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। ফলে কমবে ফাঁকি, বাড়বে রাজস্ব আয়।

দুই বছর আগে থেকে ইএফডি মেশিন বসানো শুরু হলেও এর কার্যক্রমে তেমন গতি নেই। এনবিআর বলেছে, করোনার কারণে কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। তবে চলতি বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস পদ্ধতি চালু করা হয়। এর পর থেকে ৪ হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপের ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এবারের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট আহরণের ৩৭ শতাংশ।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয়। ঠিকমতো নজর দিলে এ খাত থেকে আদায় কয়েক গুণ বাড়বে। এটা সম্ভব হবে যদি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে মেশিনের আওতায় আনা যায়।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শতভাগ যোগ্য প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৭৩ শতাংশ রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হচ্ছে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান বলেন, ‘বর্তমানে ২৫ ধরনের ব্যবসায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক, যাদের বার্ষিক টার্নওভার বা মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ফলে ভ্যাট নিবন্ধিত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় আনতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর