বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভূমি করও আসছে অনলাইনে

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ১০:০২

এ সেবা পেতে হলে প্রথমে সেবাপ্রার্থীকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন অনুমোদনের পর মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে কর পরিশোধ করা যাবে।

আগামী বছর থেকে ভূমি কর আদায় করতে সেবাপ্রার্থীদের আর ভূমি অফিসে ছোটাছুটি করতে হবে না। কর আদায়ের এই পুরো পদ্ধতিটিই অনলাইনের আওতায় চলে আসছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরু থেকে ভূমি অফিসগুলোতে আর নগদ টাকা লেনদেন হবে না।

অবশ্য রাজধানী ঢাকায় এই সুবিধা চালু হয়েছে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে। মহানগরীর সব জমির কর আদায় চলে এসেছে অনলাইনের আওতায়। পরবর্তী ধাপে এই সেবার কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অবশ্য পার্বত্য তিন জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে এ সেবা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি ক্যাশলেস বিষয়টি যাতে মেইনটেইন হয় এবং মানুষ ইনস্ট্যান্ট যা যা পাওয়ার তা যাতে পেয়ে যায়। আমরা এলডি ট্যাক্সের বিষয় ঠিক করে ফেলেছি। আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরের পর কোনো এলডি ট্যাক্স আর ম্যানুয়ালি নেয়া হবে না।

‘যেমন: আমরা ই-মিউটেশনের বিষয়ে বলছি, নো ম্যানুয়াল। কাট অফ টাইম পার হয়ে গেছে এখন সব অনলাইনে ই-মিউটেশনের ক্ষেত্রে। এলডি ট্যাক্সের বিষয়েও আমরা একটি কাট অফ টাইম দিয়েছি। কেউ যদি এটা চায় ম্যানুয়ালি আর হবে না। অনলাইনে মাস্ট করতে হবে। বাই ডিসেম্বর ইট উইল বি ডান। আমরা সারা দেশে এটা করছি।’

এ সেবা পেতে হলে প্রথমে সেবাপ্রার্থীকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন অনুমোদনের পর মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে কর পরিশোধ করা যাবে। এর ফলে ভূমি কর পরিশোধে ভূমি অফিসে ছোটাছুটির প্রয়োজন নেই।

অবশ্য সার্ভার জটিলতার কারণে সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের। ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, এই জটিলতা খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সার্ভারে যে সমস্যা হচ্ছে আমরা ক্যাপাসিটিও বাড়াচ্ছি। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। যেহেতু আমাদের লোড ক্যাপাসিটি বাড়ছে, সুতরাং আমরা সেভাবেই কাজগুলো করছি।

‘সার্ভার জটিলতাও শেষ হয়ে যাবে। এটা নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমরা এটা স্মুথ করতে চাই, অ্যাজ মাচ অ্যাজ পসিবল। এতে আমাদের রেভিনিউও বাড়ছে।’

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরু থেকে ভূমি অফিসগুলোতে আর নগদ টাকা লেনদেন হবে না। ফাইল ছবি

যাদের জমি রয়েছে, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকানার অংশ হিসেবে জমি পেয়েছেন, তাদের সবার জন্য ভূমি কর দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রতি বছর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে ভূমি কর জমা দিয়ে রসিদ নিতে হয়। এই সেবা পেতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীদের।

যেভাবে পাওয়া যাবে রসিদ

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। অনলাইনে এ সেবা পেতে প্রথমে সেবাপ্রার্থীকে এই অ্যাপের সঙ্গে নিজেকে নিবন্ধন করতে হবে। ওয়েবসাইট ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারের মাধ্যমেও এ নিবন্ধন করা যায়।

প্রথমত, ওয়েবসাইট Land.gov.bd অথবা ldtax.gov.bd-তে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম তারিখ ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টার ৩৩৩ অথবা ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর ও জমির তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

এ ছাড়া যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে এনআইডি কার্ড, জন্ম তারিখ ও খতিয়ান নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যাবে।

নিবন্ধনের পর এই পোর্টালে লগইন করে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে গিয়ে ভূমির উন্নয়ন কর দিতে পারবেন। এই সময় বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে কর পরিশোধ করা যাবে।

কর দেয়ার পর ই-মেইলে অটোমেটিক একটি জমার রসিদ চলে আসবে। এটিই ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ, যা পরবর্তী প্রয়োজনের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর