যশোরের পর এবার নকল সার সন্দেহে সাত ট্রাকে ৯৮ টন টিএসপি আটক করেছে বগুড়া বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে কয়েক বস্তা সার যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে পুরো চালান আটক করা হয়।এর আগে রোববার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে এই সাত ট্রাক বগুড়ায় পৌঁছায়। সারগুলোর পরিবহনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের দেওয়ানহাটের মেসার্স এম এইচ আর করপোরেশন।
বগুড়া বাফার গুদামের ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সাত ট্রাকে ৯৮ টন টিএসপি সার আসে। প্রতিটি ট্রাকে ৫০ কেজি ওজনের ২৮০টি করে বস্তা রয়েছে। সোমবার সকালে ট্রাক থেকে ২৪ বস্তা সার নামানো হয় পরীক্ষার জন্য। এ সময় সারগুলো নকল ও ভেজাল মেশানো মনে হয়েছে। এমন সন্দেহে ৭টি ট্রাকই আটক রাখা হয়েছে।
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিষয়টি চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। মঙ্গলবার সারগুলো ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য একটি টিম আসবে। তারা এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’ চট্টগ্রাম থেকে আসা ট্রাকচালক আব্দুল আউয়াল জানান, শনিবার পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সাত ট্রাকে মাল লোড করা হয়। সেই সার নিয়ে রোববার রাত ২টা থেকে ৩টার দিকে বগুড়া বাফার গুদামে পৌঁছাই। সকালে এখানকার কর্মকর্তারা নকল সন্দেহে ট্রাকগুলো আটকে রেখে দেন।একই কথা বলেন আব্দুল করিম নামে আরেক ট্রাকচালক। তিনি বলেন, ‘মেসার্স এম এইচ আর কর্পোরেশন আমাদের সার নিয়ে বগুড়া পাঠিয়েছে। ট্রাক আটক করার কারণে আমরাও এখানে বসে আছি।’
বাফার গুদাম সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে একই সার কারখানা থেকে ৫ ট্রাকে ৭০ টন সরকারি সার পাঠানো হয় যশোর বাফার গুদামে। পথে সেই টিএসপি সার পরিবর্তন করে নকল উৎপাদিত সার যশোর বাফার গুদামে খালাস করা হচ্ছিল। তখন ট্রাকগুলো আটক করা হয়।
যশোর বাফার সার গুদামের ইনচার্জ তাৎক্ষণিক বিষয়টি টিএসপি কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানান। পরে ভেজাল সার প্রমাণিত হওয়ায় পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সৈয়দ এমকে এন্টারপ্রাইজকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।