বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খোলাবাজারে ডলারের ফের চোখ রাঙানি

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২২ ১৮:২৯

দিন কয়েকের দরপতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনে আবার বেড়েছে ডলারের দাম। রোববার কার্ব মার্কেটে দাম বেড়ে ১১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার তা আরও বেড়ে উঠেছে ১১১ টাকায়।

কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর ফের বাড়ছে। সোমবার খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১১১ টাকা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা; রোববার নিয়েছিলেন ১১০ টাকা ৩০ পয়সা।

তবে ব্যাংকগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে একই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। ১০৪ থেকে ১০৬ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো, রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। আমদানিকারকদের কাছে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে নিচ্ছে ১১২ থেকে ১১৪ টাকা পর্যন্ত।

খোলাবাজারে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ডলারের দর বাড়তে বাড়তে গত ১০ আগস্ট ১২০ টাকায় পৌঁছায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযানের মুখে নিম্নমুখী হয় দর। একপর্যায়ে কমে তা ১১০ টাকার নিচে নেমে আসে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১০ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে ডলার।

তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই আবার বেড়ে যায় দাম। রোববার কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেড়ে ১১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার তা আরও বেড়ে ১১১ টাকায় ওঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাঝে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেশ বেড়েছিল। এখন আবার কমে গেছে। এখন মানুষ বিক্রি করে কম; কিনতে আসে বেশি। সে কারণেই দাম আবার বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘সোমবার আমরা ১১০ টাকা ২০ থেকে ৩০ পয়সা দরে ডলার কিনেছি। আর বিক্রি করেছি ১১১ টাকায়।’

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও ১০৪ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। জনতা ব্যাংক থেকে কিনতে লেগেছে ১০৪ টাকা ২৫ পয়সা। বেসরকারি সিটি ব্যাংক নিয়েছে ১০৬ টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক বিক্রি করেছে ১০৪ টাকায়। এসআইবিএল নিয়েছে ১০৫ টাকা।

গত তিন সপ্তাহের মতো সোমবার ৯৫ টাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটাকে আন্তব্যাংক বা ইন্টারব্যাংক রেট বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই রেট তিন মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল।

ব্যাংকগুলো এখনও এই দরের চেয়ে ৯ থেকে ১১১ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আমদানি ঋণপত্র খুলতে নিচ্ছে আরও বেশি।

বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের দৌড় থামাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত (১ মাস ২৫ দিন) ২০৪ কোটি (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর পরও বাজারে ডলারের সংকট কাটছে না।

তবে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বলেছেন, সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মহামারি করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বাংলাদেশ। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পরই আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানার চেষ্টা করেছি। এখন যে সমস্যা (ডলার সংকট) দেশে বিরাজ করছে এটি বেশি দিন থাকবে না। সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’

এর আগে মে মাসে ডলারের দর ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। পরে অবশ্য ১০০ টাকার নিচে নেমে আসে। বেশ কিছু দিন ৯৬ থেকে ৯৮ টাকায় খোলাবাজারে ডলার লেনদেন হয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তা ফের ১০০ টাকা ছাড়ায়।

খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন মানি চেঞ্জারে অভিযান চালায় বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এ পরিদর্শন কার্যক্রম চালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পাশাপাশি অবৈধভাবে ডলার মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

ডলার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণ করা হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদেরও (এমডি) শোকজ করা হয়। এর পরও বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না।

এ বিভাগের আরো খবর