বিনিয়োগকারীদের জমানো টাকা ফেরত দেয়ার কাজ শুরু করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং।
ইতোমধ্যে ১৪ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আরও ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩৯ টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চকে সোমবার এ তথ্য জানান পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
এই আইনজীবী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫৮২ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে আরও ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত আদালতকে জানানো হয়েছে। আদালত তাদের অর্থ ফেরত দিতে অনুমতি দিয়েছে।
‘৫৮২ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, যাদের টাকার পরিমাণ কম তাদের পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। মানবিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অল্প পরিমাণে বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বেশি পরিমাণ বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। ছয় হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।’
পিপলস লিজিংকে বাঁচাতে গত বছরের ১৩ জুলাই ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠন করে দেয় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলম স্বাস্থ্যগত কারণে ১ জুন পদত্যাগ করেন। পরে অবসরে থাকা জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌসকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা করে। ওইদিনই মামলার শুনানি শেষে অবসায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া অবসায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজনকে অবসায়ক নিয়োগ দিতে বলা হয়। পরে সাময়িক অবসায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পরে ২০১ জন আমানতকারী একটি আবেদন করেন। আবেদনে তারা বলেন, পিপলস লিজিংকে রিভাইভ বা রিকনস্ট্রাক্ট করা হোক। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শোনার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি রিভাইভ করার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।