সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে, এর পরও কেউ বাজার অস্থির করে তুললে রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার বিকেলে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সার ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সব রকম সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সারের অভাব বলে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর ফলে কিছু অসাধু ডিলার সুযোগ নিচ্ছে। সারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না।’
সরকার সারে ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কৃষক যেন ভর্তুকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করা হবে। কোথাও অবৈধ সারের মজুত পাওয়া গেলে সেই সার প্রকৃত কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে। যিনি যে এলাকায় ডিলারশিপ নিয়েছেন, তাকে সে এলাকায় সার বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রতিদিন কতটুকু বিক্রি হলো, কতটুকু অবশিষ্ট থাকল তা নিয়মিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কার্যক্রম ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় শুরু হবে। এসব চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’
খাদ্যবান্ধব ও ওএমএসের চাল বিতরণে অনিয়ম রোধ করতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। বিরূপ আবহাওয়া হলে আমনের উৎপাদন কম হতে পারে ,সে জন্য সতর্কতা হিসেবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি।
‘বেসরকারি চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স কমিয়েছি, আজই হয়তো গেজেট হবে। আমাদের খাদ্য মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসান। বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা ফারুখ হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হাসান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর কবির।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, নওগাঁ জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ভোক্তা খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে চাল কেনার সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর সব উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং বিএডিসি ও বিসিআইসির সার ডিলাররা।