বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২২ ২৩:২৯

নিবন্ধে বলা হয়, আইএমএফ বলেছে যে জিডিপির ৩৯ শতাংশ ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ কোনো সংকটের মধ্যে নেই। এই ঋণের অনুপাত প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অনেক কম। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে প্রচুর অনিশ্চয়তা রয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।

কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং খাদ্যসামগ্রীর চড়া দামে বর্তমানে অধিকাংশ দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীর সঙ্গে বাংলাদেশের ১৬০ মিলিয়ন মানুষও ভুগছে। এর ফলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ সংকট ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি কিছু ক্ষেত্রে তাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাকে সন্দিহান করে তুলছে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা থেকে বেঞ্জামিন পার্কিন ও নয়াদিল্লি থেকে জন রিড যৌথভাবে এই নিবন্ধ লিখেছেন।

এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংকট নানা ধরনের দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিচ্ছে এবং সেসব দেশকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে, যারা আদর্শ উন্নয়ন অর্থনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবিবেচনাপ্রসূত ব্যয় করেছে। এটি এখন দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অর্জিত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল উদীয়মান অর্থনীতির অঞ্চলকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে, যা ভারত ও চীনের ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রের কেন্দ্রে অবস্থিত। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ঋণদাতাদের মধ্যে অন্যতম হলো বেইজিং। ক্ষুদ্র প্রতিবেশীদের ওপর চীনের প্রভাবে ভারত বেশ অস্বস্তিতে আছে। চলমান সংকট তাদের হাতকে শক্তিশালী করার বিভিন্ন ইঙ্গিত তারা পাচ্ছে।জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মমর্তা এবং বর্তমানে জর্জ সরস পরিচালিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনসের প্রধান মার্ক ম্যালোক ব্রাউন এমনটাই বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই সংকট বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও মডেলের দেশগুলোকে বিপদে ফেলছে। গার্মেন্টস শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যান্য জায়গার অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ধসে পড়ছে।’দুই দশকের মধ্যে গত মে মাসে শ্রীলঙ্কা প্রথম এশিয়া-প্যাসিফিক দেশ হিসেবে ঋণখেলাপি হয়। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফলে রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় মানুষ বিক্ষোভ করে। ফলে তিনি সেনাবাহিনীর বিমানে গোপনে দেশত্যাগে বাধ্য হন।

পাকিস্তানের আদালত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শাস্তির রায় দিয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেশি ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও দেশটি আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলো থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে, যা তাকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। ছোট্ট দেশ নেপাল এবং মালদ্বীপও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট। ছবি: এএফপি

নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ধাক্কা থেকে সুস্থ আছে, যার বড় কারণ এর সফল রপ্তানি খাত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও জলবায়ু পরিবর্তজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় সহায়তার জন্য আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করেছে। এ ফান্ড থেকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়নসহ বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে দেশব্যাপী জনগণ প্রতিবাদ করেছে। বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য স্কুল ও অফিস সময় কমিয়ে এনেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয়ে বিলাস দ্রব্যের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ঘানা, ইথিওপিয়া থেকে চিলি পর্যন্ত বিভিন্ন উদীয়মান অর্থনীতির মিল রয়েছে, যেখানে আশির দশকের পর এই প্রথম বৈদেশিক ঋণ সংকট শুরু হয়েছে- যা সেখানে দীর্ঘদিনের সমস্যার কারণে পরিণত হয়েছে।দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ জ্বালানি ও খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল, যেমন অপরিশোধিত তেল, কয়লা, খাদ্যসামগ্রী এবং ভোজ্যতেল। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে কেউ কেউ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশটির কাছে ঋণগ্রস্ত রয়েছে।বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘যেখানে অন্য সব দেশ চাপের মুখে আছে, সেখানে বাংলাদেশ কোনো গভীর অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়ার মতো বিপদের মধ্যে নেই। বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। ঋণদানকারীরা আমাদের প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে জানেন, আমাদের ব্যালান্স শিট ভালোমতো জানেন। বাংলাদেশ অর্থ প্রদানের মতো দেশ।’

তিনি ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের পদ্মা ব্রিজের উদ্বোধনকে বিশেষ গুরুত্ব দেন, যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে চীন নির্মিত স্থাপনা, যেটি ঢাকার সঙ্গে দেশের একটি বিশাল অংশের যাতায়াতের সময় সাশ্রয় করবে।

আইএমএফ বলেছে, জিডিপির ৩৯ শতাংশ ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ কোনো সংকটের মধ্যে নেই। এই ঋণের অনুপাত প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অনেক কম। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে প্রচুর অনিশ্চয়তা রয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

যদিও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা ভারতের উদ্বেগ তৈরি করেছে, তবে এটি এখনও সংকট থেকে নিরাপদে আছে। ফলে জুলাইয়ে দেশটি এর প্রতিবেশী দেউলিয়া রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।

ম্যালোক ব্রাউন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ওপর চাপ একটি বিশাল সংকটের অংশ, যা বাস্তবিকই বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপদে ফেলে দেয়।’

তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর জন্য প্রণীত মার্শাল প্ল্যানের মতো করে একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের শ্রম-ঘামে অর্জিত এই শিল্পকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে এক ধরনের সহনশীলতা দেখতে পাবেন। পশ্চিম এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোর সেদিকে তাকানো উচিত... এটিকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না।’ ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানের একটি প্রদেশ হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে, যা নতুন দেশকে একটি দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দেয়।পরের দশকগুলোতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হয়। অদক্ষ উৎপাদন ব্যবস্থা বাদ দেয়া হয়, কর মওকুফ ও বৃহৎ বাজারগুলোতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা পায় এবং নারী-পুরুষের বিশাল কর্মসংস্থান তৈরি হয়। বৈদেশিক রেমিট্যান্সও পুঁজি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।১৯৯১ সাল থেকে দারিদ্র্য ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে অর্ধেক কমে ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসে। সে সঙ্গে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতেও প্রভূত উন্নয়ন হয়। এর ফলে সাক্ষরতা ও শিশুমৃত্যুর হারেও অভূতপূর্ব সাফল্য আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের ২ হাজার ৫০০ ডলার মাথাপিছু আয় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে ২০২৬ সালের মধ্যে অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে।

অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, ‘অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ কোথাও ছিল না, এমনকি মানচিত্রেও না। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে আমাদের কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে।’

১৯৮০ দশকের পর থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দেশের রপ্তানি খাতে ৪ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৮০ শতাংশ অবদান রাখছে, যা দেশের পোশাক শিল্প সমিতির মতে ৫০ বিলিয়ন ডলার। এখানে অধিকাংশ শ্রমিকই নারী। এই উন্নতি শ্রমিকদের শোষণ ও ভয়াবহ কর্মপরিবেশের মধ্য দিয়েই তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে আছে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধস, যেখানে প্রায় এক হাজার শ্রমিক মারা যান।

আশুলিয়ার ইউনিয়ন নেতা সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগের থেকে কর্মপরিবেশের উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট না। এখনও দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে চলেছে। ২০১৮ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার থেকে আর বাড়েনি। এই মজুরি জুলাই মাসের পর মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির বাস্তবতায় শ্রমিকদের জন্য যথেষ্ট নয়।

শামীম সরকারের ক্যাপ ফ্যাক্টরির অনেক শ্রমিকের মতোই ১৮ বছর বয়সী রেজওয়ানা আকতার দারিদ্র্যের তাড়নায় গ্রাম ছেড়ে শহরে আসেন কাজের খোঁজে। তার অনেক বন্ধুই এখন বিবাহিত এবং কর্মক্ষেত্রের বাইরে। এই ন্যূনতম মজুরি রেজওয়ানা আখতারের মতো নারীদের কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি দিয়েছে। তবুও এখানে জীবন দুর্বিষহ থেকে গেছে, তার ঘরভাড়া বৃদ্ধির হতাশার মধ্যে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।দেশের গার্মেন্টস শিল্প পোশাক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করে।

ঢাকাভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ডেভিড হাসানাত জানান, তুলার দাম বর্তমানে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তার কোম্পানি ক্রেতা থেকে পণ্যের দাম মাত্র ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, ‘আসলে এই ব্যয় আমাদের অনেক বেশি ভোগাবে।’

বর্ধিত আমদানি ব্যয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যা গত বছরের ৪৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বর্তমানে ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে নেমে এসেছে। এটা পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা রাখে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তিতুমীর জানান, তিনি মনে করছেন বছরের শেষ নাগাদ এটি তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের কমে নেমে যাবে, যাকে অর্থনীতিবিদরা খুবই সংকটাপন্ন বলে মনে করেন। মুডি অ্যানালিটিক্সের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতিবিদ স্টিভ কোকরেন বলেন, ১৯৯৭-৯৮ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেহেতু খুব বেশি বিপদে পড়েনি। তাই তারা এরপর গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারে মনোনিবেশ করেনি, যা তাদের এ বছরের সংকট থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারত।শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান কখনই পলিসিমেকিংয়ে উন্নতি করার চেষ্টা করেনি, যা বাংলাদেশ করেছে। বরং তারা বার বার আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য দেনদরবার করেছে। আর তা কখনোই নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যে তাদের স্থির করতে এবং তারা তাদের পলিসিতে স্থায়ী কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ঘণীভূত হয় অর্থনৈতিক সঙ্কট। ছবি: নিউজবাংলা

বিশেষভাবে, শ্রীলঙ্কা মহামারির আগে থেকেই বিভিন্ন সমস্যার পথ সৃষ্টি করেছে। দেশটি ২০১৯ সালে জনগণের কর মওকুফের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বন্ড বিক্রি ও চীন থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নেয়, যে অর্থ পরে তারা আয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।পাকিস্তানে ট্যাক্স কর্তন এবং রপ্তানি খাত দুর্বল হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ শিলান শাহ বলেন, ‘পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সমস্যা হলো, তাদের ঋণের অধিকাংশই ছিল বৈদেশিক মুদ্রায় নেয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী পুঁজি বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।’ সময়োপযোগী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, শক্তিশালী কর্মক্ষেত্র ও জিডিপির তুলনায় ঋণের হার কম থাকায় ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে এর অবস্থান এখনও স্থিতিশীল আছে। কিন্তু এই সংকট পুঁজি করে চীন আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার করবে বলে নয়াদিল্লি উদ্বেগের মধ্যে আছে।

এ বিভাগের আরো খবর