দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এমডির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান জানিয়েছেন।
সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এইমাত্র বোর্ড মিটিং শেষ হলো। বোর্ড মিটিংয়ে এমডির পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে।’
কোন বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে-এ প্রশ্নের উত্তরে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘একজন মানুষ যখন পদত্যাগ করতে চান, তখন অন্য কোনো বিষয় আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি মনে করেছেন, এই পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই বোর্ড সেটি গ্রহণ করেছে।’
ভোটাভুটির মাধ্যমে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, কোনো ভোটাভুটি নয়, সর্বসম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী দুই সপ্তাহ তারিক আমিন ভূঁইয়া ডিএসইর এমডি পদে থাকবেন জানিয়ে ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘দুই সপ্তাহ তিনি স্বপদে থাকবেন। সেটি কাল না পরশু কবে থেকে দিন গণনা হবে সেটা আইন দেখে হবে। এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইউনূসুর রহমানের কাছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান তারিক আমিন ভূঁইয়া।
বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া ৯৫ জনকে পদোন্নতি দেয়া নিয়ে পর্ষদের সঙ্গে মতের মিল না হওয়াতেই পদত্যাগ করেন বলে জানা যায়।
ডিএসইর ৯৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য সোমবার চিঠি ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে ডিজিএম থেকে সিনিয়র জিএম পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু নিয়ম অনুসারে জিএম এবং এর ওপরে পদোন্নতির জন্য এনআরসির (নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি) অনুমোদন লাগে।
অনুমোদন না থাকায় সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত পর্ষদের সভায় জিএম ও সিনিয়র জিএমদের পদোন্নতি বাতিল করতে বলা হয়। কিন্তু তা বাতিল না করে মঙ্গলবার সকালে জিএমের পদোন্নতির ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি পর্ষদ।
এ বিষয়ে ডিএসইর এমডি বলেন, ‘ডিএসইর এমডির যে অথরিটি বোর্ড মনে করছেন সেটা নাই। যেটা ডিমিউচুয়ালাইজেশনের আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ হেড ফুললি রেসপন্সিবল, হ্যাড ফুল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অথরিটি ফর ফাইন্যান্সিয়াল, এইচআর অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজমেন্ট। কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাইরেক্টিং স্টাফ, প্রমোশন, এসবই এমডির এখতিয়ারের মধ্যে। এমনকি অর্গানোগ্রামও। কারণ এমডিকে অনেক পাওয়ার দেয়া হয়েছে। কিন্তু উনারা মনে করছেন যে ডিজিএমকে জিএম বানাতে পারি না। জিএমকে সিনিয়র জিএম বানাতে পারি না।
এইচআরের ফুল অথরিটি রয়েছে এমডির। শুধু জিএমের রিক্রুটমেন্টের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে, দ্যাটস ফাইন।’