বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৬৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ’ পি কের সহযোগীর দুই মেয়ের

  •    
  • ২৪ আগস্ট, ২০২২ ১৪:২৫

র‌্যাবের ভাষ্য, পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক ছিলেন। ওই সময়ে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বাহিনীটি জানিয়েছে, শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ নামের দুই বোন ৬৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে শারমিন ও তানিয়া দুই দশক ধরে কানাডায় থাকেন। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৮ জুলাই তারা দেশে আসেন। বুধবার দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল তাদের। এর আগেই ভোরে দুজনকে বসু্ন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক ছিলেন। ওই সময়ে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

পরবর্তী সময় ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

চলতি বছরের ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির ঋণখেলাপিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল আদালত তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

খন্দকার আল মঈন জানান, র‌্যাব জানতে পারে যে, প্রতিষ্ঠানের দুজন ঋণখেলাপি বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। র‌্যাব এ ঋণখেলাপিদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার দুজন তাদের বাবা খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নেন। শারমিন ৩১ কেটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তী সময়ে নানা অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির কারণে ২০১৯ সালে কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় আদালত পি কে হালদারসহ প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

র‌্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তি/শ্রেণির আমানতকারী রয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীর প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা আটকা পড়েছে। এ অর্থের একটি বড় অংশ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা বিভিন্ন নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর