বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসগুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্যও নতুন সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।
নতুন সূচি অনুযায়ী ব্যাংকের লেনদেন হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। তবে লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করে বিকাল ৫টার মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস ত্যাগ করতে হবে।
বুধবার থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত পরিবর্তিত অফিস সময়সূচির অনুবর্তনে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ২৪ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে সকল ব্যাংক-কোম্পানীর লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত।
লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করে ৫ টার মধ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিস ত্যাগ করতে হবে।
সমুদ্র বা স্থল বা বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা উপ-শাখা বা বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে ২০১৯ এ জারি করা সার্কুলারের নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময় সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি অফিসগুলোতে দিনের বেলা বৈদ্যুতিক বাতি যথাসম্ভব বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পর্দার ব্যবহার কমানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে বিলাসবহুল পণ্য আনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া দোকানপাট চালু রাখার সময়ও কমানো হয়েছে।