ঢাকার জিঞ্জিরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হালকা প্রকৌশল শিল্প গড়ে উঠেছে এগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
পরে বৈঠকের বিস্তারিত গণমাধ্যমে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের দেশে যে হালকা প্রকৌশল হবে (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং), এটার একটা নীতিমালা নিয়ে আসা হয়েছে। এটার জন্য স্থানীয় শিল্পের প্রসার হবে এবং শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে। আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন আরও বাড়বে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি, সে ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
‘এটা একটা মৌলিক খাত হিসেবে আমাদের দেশে বিবেচিত হবে। যেমন জিঞ্জিরা এলাকার শিল্পগুলোকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হবে। যারা অথেনটিক প্রডিউসার তারা অনেক রকমের ব্যাকাপ পাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বিশেষ সুবিধা আছে, যেটা ২ পারসেন্ট রেট অফ ইন্টারেস্ট। এ খাতগুলোতে নীতিমালা অনুসরণে বিনিয়োগ করলে সে সুবিধাগুলো পাবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের, সে ব্যাংক থেকেও তারা ২ পারসেন্ট রেট অফ ইন্টারেস্টে ঋণ নিতে পারবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্যও একটা বিশেষ প্রভিশন আছে। ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো সিকিউরিটি ছাড়া ঋণ নিতে পারে।
‘কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটা বিনিয়োগ হচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক এটাকে প্রমোট করবে, যাতে নারী উদ্যোক্তারাও যেন এ সেক্টরের অধীনে হলে ওইটারও বেনিফিট পায়। এসব শিল্প খাত যদি রপ্তানিমুখী হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তারা আলাদা প্রণোদনা পাবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা মন্ত্রিসভা একটা ডিরেক্টিভ দিয়েছে, যেভাবে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরকে ব্যাকাপ করি, এসব ক্ষেত্রেও যারা রপ্তানিমুখী হবে তাদের সে সুবিধা দেয়ার জন্য।
‘এখানে প্রায় ৪০ হাজার হালকা প্রকৌশল শিল্প রয়েছে এবং ৬ লাখ প্রযুক্তিগত দক্ষ এবং উদ্যোক্তা সক্রিয়ভাবে জড়িত। তাদের জন্য এটি প্রণোদনার কাজ হবে। তারা কাজের জন্য উৎসাহী হবে।’