বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়তি দরে কিনতে নারাজ, দাম কমেছে ডিম-মুরগির

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২২ ১৩:১৭

কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ডিমের দাম প্রতি ডজনে ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এক ডজন বাদামি ডিম ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যেটি কয়েক দিন আগে ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাড়তি দামে কিনতে না চাওয়ায় ডিম ও মুরগির দাম কমে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামে স্বস্তি ফিরে এলেও অস্থিরতা দেখা গেছে সবজির দোকানে। ৪০ টাকার নিচে কোনো ধরনের সবজি নেই বললেই চলে। বাজারে আসা নতুন শিমের কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে।

নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিই কাঁচাপণ্যের ঊর্ধ্বমুখিতার কারণ বলছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দেশে চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর হুহু করে বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছাড়ায়। দর কমে আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়।

চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দর কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের ‘মা রোকেয়া চিকেন ব্রয়লার হাউসের’ কামরুল হাসান বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। মানুষ ব্রয়লার খাচ্ছে না। আর দুই-তিন দিন সরকারি ছুটি থাকায় ঢাকায় মানুষই নাই। বাজারেও মানুষ কম আসছে।’

আরেক বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন লিটন বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম তো কমেনি। যার কারণে পাবলিকের পকেটে টাকা নাই। তারা মুরগি কিনবেন কী করে, তাই মুরগির চাহিদা কমে গেছে, দামও কমে গেছে।’

কিছুটা দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। গত সপ্তাহে ২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।

ব্রয়লার ‍মুরগির দাম দেড় শ টাকার নিচে থাকা সমীচীন বলছেন ক্রেতারা। জয়নাল আবেদীন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি মানুষ খেত না একসময়। আর এর উৎপাদন খুব দ্রুত সময়ে করা যায়। কীভাবে এর দাম ১৮০ টাকা বা ২০০ টাকা হয় মাথায় আসে না। এর দাম দেড় শ টাকার নিচে হওয়া উচিত।’

এদিকে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এক ডজন বাদামি ডিম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যেটি কয়েক দিন আগে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আর সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন। যেটি আগে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ডিম ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দেড় শ টাকার ওপরে ছিল ডিমের দাম। গতকাল থেকে কমছে। মানুষ ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে।’

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে নতুন আসায় শিম সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

শিমের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে টম্যাটো ও গাজর। টম্যাটো ১০০ থেকে ১৩০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

শসার কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটু পরে এই শসাই ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হবে।’

অন্যান্য সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ রকমভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মরিচের কেজি আগের মতোই ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আদা ও রসুন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

সবজির দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বেসরকারি চাকরিজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেতন তো এক জায়গাতেই আছে। কিন্তু সবজির দাম তো বাড়ছেই। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি কেনা যায় না। আমরা খাবটা কী?’

দাম বেড়েছে ইলিশ মাছের। রকমভেদে ইলিশের কেজিতে বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

প্রতি কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। আগে এই ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।

দেড় কেজি ওজনের ইলিশ গত সপ্তাহে ১৫০০ টাকায় পাওয়া গেলেও সেটি আজ বিক্রি হয়েছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। দুই কেজি ওজনের ইলিশের দাম পড়েছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা।

বিক্রেতা মিলন বলেন, ‘ভালো ইলিশের (চাঁদপুরের ইলিশ বুঝিয়েছেন) সরবরাহ কম। আইতেছে না, যার কারণে একটু বেশি দাম।’

অন্যান্য মাছের দামে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। রকমভেদে রুই ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা, কই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর