বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই হালিতে ডিমের দাম কমল ৬ টাকা

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২২ ১১:১৬

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান বলেন, ‘তারা আগেই খবর পেয়েছিল কি না জানি না। আমরা বাজারে ঢোকামাত্রই ৬ টাকা দর কমে গেছে। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দাম ৪০ টাকা হয়ে গেছে।’

রাজশাহীর একটি বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ডিমের দাম ৬ টাকা কমানোর খবর জানা গেছে।

নগরের সাহেব বাজারে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৪৬ টাকা দরে। দুপুর ১২টার দিকে সাহেব বাজারে অভিযানে যান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দল। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট দেখে মুহূর্তেই ডিমের দাম ৬ টাকা কমে তড়িঘড়ি করে তালিকা বদলে লেখা হলো ৪০ টাকা।

তবে এ সময় মূল্য তালিকা ও বেশি দাম রাখার কারণে দুই ডিমের দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ের যৌথ নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগরের খড়খড়ি, আশরাফের মোড় এবং নলখোলা মোড় ডিমের আড়ত ও পাইকারি দোকান এবং সাহেব বাজারের খুচরা ডিমের দোকান ও মুরগির মাংসের দোকানে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।

‘এ সময় পাইকারি আড়তে সাদা ডিমের দাম হালি ৩৭-৩৮ টাকা, লাল ডিমের পাইকারি দর হালিতে ৩৮-৪০ টাকা পাওয়া যায়। তবে এই দর নিয়ে খুচরা বাজারে গেলে সেখানে ক্রেতারা অভিযোগ করেন, সকালেই এখানে ৪৬ টাকা হালি দরে লাল ডিম বিক্রি হয়েছে।’

সহকারী পরিচালক হাসান আরও বলেন, ‘তারা আগেই খবর পেয়েছিল কি না জানি না। আমরা বাজারে ঢোকামাত্রই ৬ টাকা দর কমে গেছে। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দাম ৪০ টাকা হয়ে গেছে।

‘আমরা অন্তত ৩০টি দোকানে গিয়েছি, সবখানেই মূল্য তালিকা আছে। চকচকা মূল্য তালিকায় লেখা আছে ১৮ আগস্ট ২০২২ লাল ডিম ৪০ টাকা, সাদা ডিম ৩৮ টাকা। এটি অদ্ভুত একটি বিষয়। মনে হলো জাদুর মতো কাজ হলো।’

ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা জানান, সাহেব বাজারের অভিযানে আল মদিনা ট্রেডার্সে মূল্য তালিকা না থাকায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মধু ঘর তাদের মূল্য তালিকায় ৪২ টাকা লিখে রাখলেও বিক্রি করছিল ৪৪ টাকা। একজন ভোক্তা হাতেনাতে তাকে ধরিয়ে দিলে ওই দোকানমালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জামাল উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সকালেই ৪৬ টাকা হালি ডিম কিনেছি। এখন ম্যাজিস্ট্রেট আসার সঙ্গে সঙ্গেই দাম কমে গেল। এটা কী করে সম্ভব। ওরা বলে বেশি দামে কিনেছে সে কারণে বেশি দামে বিক্রি করছে। এখন তাহলে ৪০ টাকা করে কীভাবে বিক্রি করছে। আসলে সব শক্তের ভক্ত, নরমের যম। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে আমরা একটু স্বস্তি পাই। ম্যাজিস্ট্রেট আসলে সব কিছুরই দাম কিছুটা কমে।’

ডিম ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান জীবনের দাবি, আসলে ম্যাজিস্ট্রেট আসার কারণে নয়, তারা দাম কমিয়েছেন নতুন রেট পাওয়ার কারণে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকালে ৪৬ টাকা দামেই ডিম বিক্রি করছিলাম কারণ আগের দিনের দাম ছিল এটা। আমাদের কেনাও হয়েছিল বেশি দামে। দুপুরের দিকে আমরা যখন দিনের নতুন রেট পেলাম, তখনই সেটা ৪০ টাকা দামে বিক্রি শুরু করি। আজকেও আমরা ৪০ টাকা হালি দামেই বিক্রি করছি। আবার নতুন রেট পেলে দাম কম-বেশি হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর