সংকট কাটাতে ব্যাংকের মতো মানি চেঞ্জারদের ক্ষেত্রেও ডলার বেচা-কেনায় ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা। ব্যাংকের ক্ষেত্রে যেটা ১ টাকা।
খোলাবাজারে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে সেই দরকে বেঞ্চ মার্ক ধরে এর চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা।
‘ব্যাংকগুলো যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো তার চেয়ে এক টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে। আর বিক্রি করতে পারবে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দরে।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারের বাজার নিয়ে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। ডলার বাজারের অস্থিরতা দূর করতে এর আগে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠক করেছে। সেখানে তাদেরকে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে বিক্রি মূল্যের একটি সিলিং করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ এক টাকা। সব ব্যাংক এটি ফলো করবে বলে তারা জানিয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ব্যাংকগুলোতে যেমন পরিদর্শন চালিয়েছি, তেমনই খোলাবাজারও পরিদর্শন করেছি। বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া ২৩৫টি বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে ৭’শর বেশি মানি চেঞ্জার বাজারে কাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃংখলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে তারা শাটডাউন করেছে। আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।