বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৫০ পয়সা খরচ বাড়ায় দাম চার টাকা বাড়ার লজিক আছে?’

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২২ ১৬:০৭

ধরেন তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচের জন্য প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে, সেখানে ব্যবসায়ীরা ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এখানে কোনো লজিক আছে? নাই: বাণিজ্য মন্ত্রী

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে চালের পরিবহন ব্যয় কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা বাড়তে পারে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আর এর সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম চার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন জানিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। সুযোগ পেয়ে লাফিয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।’

সচিবালয়ে বুধবার এক কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

গত ৫ আগস্ট থেকে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর পণ্যমূল্য আরেক দফা লাফ দেয়ায় জনসাধারণের জীবন হয়েছে আরও কঠিন। তবে পণ্যমূল্য যে হারে বেড়েছে, তা পরিবহন খরচ বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, পণ্যমূল্য এতটা বাড়ার কোনো কারণ নেই।

মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা তুলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সুযোগ যখন নেয়, সবাই একবারে লাফ দিয়ে নেয়।…ধরেন তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচের জন্য প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে, সেখানে ব্যবসায়ীরা ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এখানে কোনো লজিক আছে? নাই৷’

এই অতিমুনাফার প্রবণতা সহজে থামানো যাবে না বলেও মনে করেন টিপু মুনশি। বলেন, ‘আমরা তো এসব একবারে শেষ করতে পারব না। তাদের সঙ্গে বসে সেটেল (নিষ্পত্তি) করতে হবে। আমাদের একটু সময় দেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি।

‘আমাদের একটু সময় দেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আমরা কষ্টে আছি, স্বীকার করছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এ বিষয়গুলো দেখছি। তবে সবকিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। আর সব ব্যাপারে আমি আপনাদের বোঝাতে পারব, তা কিন্তু নয়। আমার যেটা কথা…হঠাৎ করে সুযোগ কেউ কেউ নিয়েছে। যে পরিমাণ বাড়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি সুযোগ নিয়েছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি।’

ডলারে ক্রমবর্ধমান দরও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে মন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম হঠাৎ করে এত বেশি। খুব চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে কী করা যায়। আমাদের কাছে হিসাব আছে।’

কবে নাগাদ বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা বলা যাবে না, তবে আমরা খুব আশাবাদী অক্টোবরের মধ্যে কিছুটা কমে আসবে। কতগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। আমি জানি না, পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। সেটা তো আমার হিসাবের মধ্যে নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর