আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লোডশেডিং থাকবে। সে মাসই লোডশেডিংয়ের শেষ মাস হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি- একনেক সভা শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে লোডশেডিং শেষ হবে বলে আশা করছি। এর মধ্যেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত জুলাই থেকে দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন স্থগিত রাখে সরকার।
১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সভায় ১৯ জুলাই থেকে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
সে দিন থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে শিডিউল অনুযায়ী এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং শুরু হয়। পরে সেটি আরও বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করার কথা জানায় সরকার।
তবে ঢাকায় কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা হলেও বেশির ভাগ এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের সময় দুই ঘণ্টার জায়গায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে এখন জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। রাশিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র গম রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এরপর শস্যটির রপ্তানিও শুরু করেছে রাশিয়া। অনেক দেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলও আমদানি করছে। ফলে আগামী দিনে জ্বালানি তেলের সংকট কেটে যাবে বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
একনেক সভায় এ সময় তিনি ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য মুদ্রায় বৈদেশিক বাণিজ্য করা যায় কি না সে বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন। এম এ মান্নান বলেন, ‘এখন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবার সময়। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে রুপি, রুবল, ইউয়ানে লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
একনেক সভায় ২ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক।