পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু মিউচুয়াল ফান্ড গত বছরের মতো এবার আর আনরিয়েলাইজড গেইনের হিসাব প্রকাশ করেনি। গত বছর এই হিসাব প্রকাশের পর বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার পর এবার রিয়েলাইজড গেইনের ওপর ভিত্তি করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটধারীদেরকে ১৫ শতাংশ হারে অর্থাৎ প্রতি ইউনিটের বিপরীতে দেড় টাকা হারে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
রোববার ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক এইমস অব বাংলাদেশ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
আগের বছর এই আয় ১ টাকা ২১ পয়সা হলেও আনরিয়েলাইডজ গেইনসহ আয় দেখানো হয় ৬ টাকা ৮ পয়সা। অর্থাৎ অর্থাৎ বাকি ৪ টাকা ৮৭ পয়সা তাদের আয় হতো শেয়ার বিক্রি করে। কিন্তু বিক্রি না করলেও সেটি তাদের আয় হিসেবে দেখানো হয়।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী একটি ফান্ড তার আয়ের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে।
গ্রামীণ টু গত বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৩৯ পয়সা আয় করেছিল। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এই ফান্ডটির লভ্যাংশ নিয়ে ব্যাপকভাবে উৎসাহী ছিলেন। এক পর্যায়ে ইউনিটদর ২১ টাকা ৮০ পয়সা হয়ে যায়।
এরপর রিয়েলাইজড গেইনের ওপর ভিত্তি করে যখন ১৩ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়, তখন বিনিয়োগকারীরা তীব্রভাবে হতাশ হন।
এইমস পরিচালিত গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
তবে এবার ফান্ডটি আর আনরিয়েলাইজড আয় প্রকাশ করেনি কোনো প্রান্তিকে। এরা তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১ টাকা ১ পয়সা আয় দেখানোর পর ইউনিটদরে আর উল্লম্ফন হয়নি।
ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটদর ১৫ টাকা ৮০ পয়সা। এই হিসাবে এর ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হবে।
২০২২ তারিখে ক্রয়-মূল্যে ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১১ টাকা ৬৭ পয়সা। ওইদিন বাজার-মূল্যে এর ইউনিটপ্রতি সম্পদ ছিল ২০ টাকা ৫২ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ কেউ লভ্যাংশ নিতে চাইলে সেদিন ইউনিট ধরে রাখতে হবে।