বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চোরাচালানে জব্দ সোনার ২৫ শতাংশ পুরস্কারের প্রস্তাব বাজুসের

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ১৩:২১

বাজুস নেতা এনামুল হক খান প্রস্তাব করেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অভিযানে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে দিলে প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।

চোরাচালান প্রতিরোধে জব্দ সোনার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।

সমিতির পক্ষ থেকে অসাধু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতিও দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি বার্তা।

বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হলমার্ক ছাড়া কোনো অলংকার বিক্রি করা যাবে না। কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের হলমার্ককৃত অলংকার নিম্নমানের পাওয়া গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অবহিত করা হবে।

শনিবার বাজুস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান পাচার প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন সমিতির প্রস্তাব ও অবস্থান ব্যক্ত করেন।

সারা দেশে জুয়েলারি শিল্পের বাজারে অস্থিরতা, চলমান সংকট ও সমস্যা, দেশি-বিদেশি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধ এবং কাস্টমস আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযানের দাবিতে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সময় সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে এনামুল হক খান বলেন, ‘বাজুসের প্রাথমিক ধারণা, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত, ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

দেশের চলমান ডলার সংকটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে তিনি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।

এনামুলের ভাষ্য, দেশে অবৈধভাবে আসা সোনার সিকিভাগও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরে আসছে না। ফলে নিরাপদে দেশে আসছে চোরাচালান হওয়া বিপুল পরিমাণ সোনার চালান। আবার একইভাবে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ যে সোনা চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এটা এখন আর কথার কথা নয়। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতি উত্তরণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিয়মিত কড়া নজরদারি জরুরি। পাশাপাশি বাজুসকে সম্পৃক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সব দপ্তরের সমন্বয়ে সোনা চোরাচালানবিরোধী সেল গঠন এবং চোরাচালান আইন সংশোধনও সময়ের দাবি।

এনামুল হক খান প্রস্তাব করেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অভিযানে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে দিলে প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।

ব্যাগেজ রুলের সুবিধার আওতায় সোনা ও সোনার ভার আনতে গিয়ে দেশের ডলারের ওপর কেমন প্রভাব পড়ছে, তার সমীক্ষা করার তাগিদ দেন তিনি। তার মতে, সমীক্ষায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কমবে।

এ বিভাগের আরো খবর