বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজস্বে দুর্বলতা অর্থনীতির প্রধান সমস্যা: দেবপ্রিয়

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২২ ১৬:১৮

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমাদের রাজস্ব আহরণ অনেক কম। বড় দুর্বলতা এই জায়গাতেই। জিডিপির তুলনায় কর অনুপাত যদি ১৫ শতাংশ হতো, তাহলে এই সংকটকালীন বাড়তি রাজস্ব দিয়ে সরকার জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারত। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, যা করা হচ্ছে না।’

দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটে রাজস্ব খাত প্রধান সমস্যা হিসেবে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সামষ্টিক অর্থনীতির প্রবণতা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সভায় সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন তিনি।

চলমান সংকটের জন্য বহিঃখাত নয়, রাজস্বই ‘আসল খলনায়ক’ বলে মনে করেন দেবপ্রিয়।

তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়বে কি বাড়বে না, ভর্তুকি দেয়া যাবে কি যাবে না, বিষয়টি বহিঃখাতের বিষয় নয়। সরকার শুধু রোগের উপশমের পেছনে দৌড়াচ্ছে; আসল রোগ কী, তা বলছে না।

‘আমাদের রাজস্ব আহরণ অনেক কম। বড় দুর্বলতা এই জায়গাতেই। জিডিপির তুলনায় কর অনুপাত যদি ১৫ শতাংশ হতো, তাহলে এই সংকটকালে বাড়তি রাজস্ব দিয়ে সরকার জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারত। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, যা করা হচ্ছে না।’

অর্থনীতিতে যে সংকট চলছে, তা নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন নীতি সমঝোতার পরামর্শ নিয়েছেন ড. দেবপ্রিয়।

তিনি মনে করেন, সংকটকালে একটি বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে নীতি সমঝোতা বাস্তবায়ন করতে পারলে সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।

বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব বলতে কী বোঝাতে চান- এমন প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, ‘অর্থনীতির চলমান সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে সরকার সংসদের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা করতে পারে। প্রথমে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করতে হবে। তারপর সংসদে এবং স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করতে পারে। সংসদের বাইরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যতই কাজ করুক না কেন, সেটা যদি বিশ্বাসযোগ্য না হয়, জনগণের আস্থা অর্জন না করে, তাহলে সবচেয়ে ভালো নীতিও তখন কাজে আসে না। সে জন্যই আমি সমঝোতার ভিত্তিতে নীতি প্রণয়নের কথা বলছি।’

তেলের মূল্য ধাপে ধাপে বাড়ালে যৌক্তিক হতো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, ‘অর্থনীতি কখনও অভিঘাত গ্রহণ করতে পারে না। এটা করা হলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অর্থনীতি অভিঘাত পছন্দ করে না। অনেক দিন ধরে না করে এক ধাক্কা দেয়া এটা অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়।’

তিনি মনে করেন, শুধু জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নয়, সুদের হার, বিনিময় হারের ক্ষেত্রেও এমনটি সত্য।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কতদিন থাকবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে অর্থনীতির যে চিত্র দেখছি, মূল্যস্ফীতি বাড়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর