বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২২ ১৬:১৬

১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির লভ্যাংশ দিয়েছে বলে কোনো তথ্য ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে নেই। দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারদর ২৬১ টাকা ১০ পয়সা। তবে এটি চলতি বছরের সর্বোচ্চ দর নয়। সর্বোচ্চ দর ছিল ২০৮ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি বছরের সর্বনিম্ন দর ছিল ১৫১ টাকা ১০ পয়সা। গত দুই বছরে সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৪৬ টাকা ৭০ পয়সা, আর সর্বনিম্ন দর ১৪০ টাকা ৬০ পয়সা।

লোকসানি কোম্পানি, কিন্তু ১০ টাকার শেয়ার লেনদেন হচ্ছে আড়াই শ টাকারও বেশি দরে। অস্বাভাবিক দরে যারা শেয়ার কিনেছেন, তারা এখন পড়েছেন চরম বিপাকে।

লোকসান থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়, এই বিষয়টি জানিয়ে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিবিধ খাতের কোম্পানি সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের লিমিটেড।

বিশেষায়িত ইট তৈরির ব্যবসায় নানা কোম্পানিটি পুঞ্জীভূত লোকসান ও ব্যবসার কাঁচামালের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এটি দ্বিতীয় কোম্পানি, যেটি পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হতে চাইছে। গত বছর বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিকস পুঁজিবাজার থেকে স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুত হয়। তারা বিনিয়োগকারীদেরকে ইস্যু মূল্য ১০ টাকা দেবে। তবে এখনও সব টাকা পরিশোধ করা হয়নি।

বেক্সিমকো সিনথেকিসনের মতোই লোকসান থেকে বের হতে পারছে না সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের। কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। ব্যবসায় কাঁচামালের অভাব, স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম, খুব অল্প উৎপাদন ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা বন্ধের পরেও বাংলাদেশে ব্যবসা করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় বলেও উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি।

তালিকাচ্যূতির জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেবে কোম্পানিটি।

১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির লভ্যাংশ দিয়েছে বলে কোনো তথ্য ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে নেই।

ঢাকার সাভারে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের কারখানায় বিশেষায়িত ইট তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

১ কোটি ৩৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৮০০। নানা সময় এই শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ার বিষয়টি কারণ হিসেবে দেখা হয়।

দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারদর ২৬১ টাকা ১০ পয়সা। তবে এটি চলতি বছরের সর্বোচ্চ দর নয়। সর্বোচ্চ দর ছিল ২০৮ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি বছরের সর্বনিম্ন দর ছিল ১৫১ টাকা ১০ পয়সা।

গত দুই বছরে সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৪৬ টাকা ৭০ পয়সা, আর সর্বনিম্ন দর ১৪০ টাকা ৬০ পয়সা।

গত তিন বছর টানা লোকসান দিয়ে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে ৬ টাকা ২৮ পয়সার সম্পদমূল্য থাকার কথা জানানো হয়েছে গত বছরের ৩০ জুন।

তবে সম্প্রতি কোম্পানিটি সম্পদ পুনর্মুল্যায়নের পর সম্পদমূল্য অনেকটাই বেড়েছে।

ব্যবসা বন্ধের উদ্দেশে কোম্পানিটি সম্পদ, কারখানা ও যন্ত্রপাতির পুর্নমূল্যায়ন করিয়েছে।

রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট দিয়ে পুনর্মুল্যায়নের পর দেখা যায়, কোম্পানিটির বর্তমানে ১৮ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ টাকার সম্পদ আছে, যা আগে ছিল ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫ টাকা।

অর্থাৎ বর্তমানে শেয়ারের বিপরীতে ১৩৪ টাকা ৩৮ পয়সার সম্পদ আছে।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৫০ দশমিক ৬৮ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। বাকি ৪২ দশমিক ১৪ শতাংশ অর্থাৎ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৬টি শেয়ার কাছে ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের হাতে।

এ বিভাগের আরো খবর