জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা জনগণের সামনে তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন সরকারপ্রধান।
পরে সচিবালয়ে বৈঠকের বিস্তারিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসির চেয়ারম্যান তো প্রেসে বিস্তারিত বলেছেনই। ওটাই জাস্ট মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।’
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশ এসেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে তো ওনারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেনই। এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন। আজকে বলে দেয়া হয়েছে। কারণ এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়।
‘স্বল্প পরিসরে আমি ব্যাখ্যা দিলে অনেক প্রশ্ন আসবে, উত্তরও হয়তো দেয়া যাবে না। এ জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেয়া হয়েছে। তাদের আবার ব্রিফিং করতে বলা হয়েছে।
‘এ জিনিসগুলোই আলোচনা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বিপিসিতে বলা হয়েছে, তারা যাতে ইমিডিয়েটলি জিনিসগুলো ক্লারিফাই করে। এগুলো ওনাদের ব্রিফিংয়ে সব ক্লিয়ার করবেন। আজকে মূলত তারা পুরো ক্যাবিনেটকে ব্রিফিং করেছেন। ক্যাবিনেট কোনো অপিনিয়ন (মতামত) দেয়নি।’
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।
অন্যদিকে অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে। এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।