চলমান দাবদাহ ও খরায় ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়ে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে আসায় জার্মানিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে জানানো হয়, একদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে থাকা রাশিয়া গ্যাস রপ্তানি সীমিত করেছে ইউরোপে, অন্যদিকে গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়ছে পুরো মহাদেশ। এমন পরিস্থিতি ইউরোপের জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। শীতে জ্বালানির চাহিদা বেড়ে গেলে এ সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউরোপের জ্বালানি সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে রাইন নদীর পানি কমে যাওয়া। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে নদীটি দৃশ্যত নৌযান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এর ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানির সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে।
সড়ক বা রেলপথে জ্বালানি পরিবহন সম্ভব হলেও সেটি অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ।
এ বিষয়ে এএমই গ্রুপের এক নোটে বলা হয়, ‘রাইন নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়া এসব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার জোগান ব্যাহত করবে।’
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইউরোপিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জে জার্মানির বিদ্যুতের প্রতি মেগাওয়াটের দাম ৩.২ শতাংশ বেড়ে ৪২০ ইউরো হয়েছে। এটি এক বছর আগের দামে চেয়ে পাঁচ গুণেরও বেশি।
প্রচণ্ড তাপ ও খরায় জলবিদ্যুতের জোগান দেয়া নদী, জলাধারগুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নরওয়ের অসলোভিত্তিক জ্বালানি প্রযুক্তি কোম্পানি ভলুর পানি বিশেষজ্ঞ সিলজে এরিকসেন হলমেন বলেন, ইউরোপে শুষ্ক অবস্থা কাটার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। এটা এ কারণে নয় যে, শুধু এ গ্রীষ্মটাই শুষ্ক; সময়টা দীর্ঘ হওয়ায় খরার প্রভাব আরও বেড়েছে।