শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গত এক বছরের লভ্যাংশ হিসাবে সাত কোটি টাকা জমা দিয়েছে চার কোম্পানি।
কোম্পানিগুলো হলো মেঘনা পেট্রোলিয়াম, লাফার্জ হোলসিম, বিএসআরএম এবং লিন্ডে।
দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সচিবালয়ে দেশে শীর্ষস্থানীয় এই চার কোম্পানির প্রতিনিধিরা শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের হাতে নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করেন।
প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া চার কোম্পানির লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪ টাকা।
লাফার্জ হোলসিমের পক্ষে চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এবং মানবসম্পদ পরিচালক আসিফ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার ২৭ টাকার, বিএসআরএমের পক্ষে হেড অফ করপোরেট অ্যাফের্য়াস সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দির নেতৃত্বে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৩ টাকা জমা দেয়।
এ ছাড়া মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জসিম উদ্দিন ১ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৪ টাকা এবং অক্সিজেন কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশের পক্ষে মানবসম্পদ বিভাগের সহযোগী পরিচালক সাইকা মাজেদের নেতৃত্বে ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার চেক জমা দেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ তহবিলে বিভিন্ন কোম্পানির দেয়া লভ্যাংশের পুঞ্জিভূত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭৪৭ কোটি টাকা। শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার এ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে।
এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, বিএসআরএম-এর আইআর এবং এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট সিনিয়র ম্যানেজার মো. ইসমাইল, মেঘনা পেট্রোলিায়ামের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং লিন্ডে বাংলাদেশের আইআর ও এডমিনের সহযোগী জেনারেল ম্যানেজার সুফিয়া ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।