চলমান ডলার সংকটে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য নিয়ম আরও শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপন বা প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশে আনার চুক্তি করতে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি লাগবে না। ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপনের পর প্রয়োজনীয় তথ্যসহ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ও পলিসি বিভাগ বুধবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার সব অথরাইজড ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে।
এর আগে দেশের কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিদেশি কোনো মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হত। সেই সঙ্গে ওই দেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন বা হাইকমিশনের কাছ থেকেও বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জের বিষয়ে ইতিবাচক সুপারিশপত্র আনতে হত।
নতুন নিয়মে চুক্তি করার পর বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। আর বাংলাদেশ মিশনের প্রত্যয়নপত্র ছাড়াও চুক্তি করা যাবে।
২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ কমেছে। ওই অর্থবছরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম।
এ অবস্থায় বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশে আনতে অনেক ব্যাংকের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজ রয়েছে। যাদের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস নেই তারা বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়।
এক সময়ে দেশীয় ব্যাংকের মালিকানায় পরিচালিত এক্সচেঞ্জের নিজস্ব প্রতিনিধি বা সাব-এজেন্ট দেয়ার সুযোগ ছিল। মানি এক্সচেঞ্জের আড়ালে যাতে হুন্ডি বা অবৈধ অর্থের লেনদেন না হয় সে জন্য ২০০৭ সালের এক নীতিমালার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সুযোগ বন্ধ করে দেয়।