অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ২৮ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেয়া একটি আইনে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রযুক্তি খাতে চীনের এগিয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আইনটিতে সই করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ নিশ্চিতের এ আইনে যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার চিপ উৎপাদন কারখানা নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর করে ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর অংশ হিসেবে আরও সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী। মাইক্রোচিপের বৈশ্বিক স্বল্পতা তাদের এ আহ্বানকে আরও জোরালো করে।
আইনটির বিষয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেন, এটি পটপরিবর্তন করে দেবে, যা আগামী শতকে আমেরিকার নেতৃত্ব ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের কথা উল্লেখ না করে শুমার বলেন, ‘আমাদের পিছিয়ে পড়তে দেখে কর্তৃত্ববাদীরা উল্লসিত ছিল এবং ভেবেছিল আমরা নির্বিকার বসে থাকব। চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট পাসের মধ্য দিয়ে আমরা আরেকটি মহান আমেরিকান শতক নিশ্চিতের বিষয়টি খোলাসা করে দিচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের মোট সেমিকনডাক্টরের ১০ শতাংশের মতো জোগান দেয়। গাড়ি থেকে মোবাইল ফোনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই সেমিকনডাক্টর। ১৯৯০ সালে সেমিকনডাক্টরের বৈশ্বিক জোগানের প্রায় ৪০ শতাংশ দিত যুক্তরাষ্ট্র।
এ খাতে হারানো প্রভাব ফিরিয়ে আনতেই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের পথ তৈরি করল বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
আইনটিতে সমর্থন দিয়েছে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টিও।