বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হয়রানি বন্ধের দাবি প্লাস্টিক উদ্যোক্তাদের

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৪০

ব্যবসায়ীরা বলেন, চুড়িহাট্টায় অগ্নিদুর্ঘটনার পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে সব আইনি শর্ত মেনে চলা বৈধ কারখানাগুলোও অবৈধ হয়ে পড়ছে। আর তা সুযোগ হিসেবে নিয়ে সরকারি সংস্থাগুলো পরিদর্শন ও অভিযানের নামে বিভিন্ন কারখানাকে জরিমানা ও মামলা করছে। এভাবে হয়রানির শিকার হয়ে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পরিদর্শনের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের প্লাস্টিক শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা।

সোমবার মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে প্লাস্টিক, রাবার, মেলামাইন ও পিভিসি পণ্য বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিদুর্ঘটনার পর থেকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। এর ফলে সব আইনি শর্ত মেনে চলা বৈধ কারখানাগুলোও অবৈধ হয়ে পড়ছে।

আর এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে সরকারি সংস্থাগুলো পরিদর্শন ও অভিযানের নামে বিভিন্ন কারখানাকে জরিমানা ও মামলা করছে। এভাবে হয়রানির শিকার হয়ে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্লাস্টিক পল্লী স্থাপনের কথা থাকলেও এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তাই পুরান ঢাকার কারখানাগুলো স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হয়নি। প্লাস্টিক পল্লী স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নের দাবি জানান তারা।

বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় ও শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখছে প্লাস্টিক শিল্প। ২০২৩ সাল নাগাদ মহামন্দার বৈশ্বিক পূর্বাভাস রয়েছে। এই মন্দা মোকাবিলা করতে হলে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। সেজন্য প্লাস্টিক খাতের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।’

এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, রপ্তানি বাড়াতে ভারতের কলকাতা, গুয়াহাটি ও ত্রিপুরায় তিনটি মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে এফবিসিসিআই। এসব মেলায় প্লাস্টিক, মেলামাইনসহ এ খাতের সম্ভাবনায় পণ্যগুলো প্রদর্শনী করা যেতে পারে। ভারতের সেভেন সিস্টার্সে বাংলাদেশি এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ আবু মোতালেব বলেন, ‘প্লাস্টিক খাত শুরু থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার। তা এখনো চলছে। এ খাতের কর সংক্রান্ত সমস্যা, পরিবেশ বিষয়ক সমস্যা সমাধানে স্ট্যান্ডিং কমিটি কাজ করবে।’

শিল্প কারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারলে বিশ্ববাজারের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে।

‘প্লাস্টিক পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের আকার ৬০০ বিলিয়ন ডলার। অথচ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাত থেকে দেশ আয় করে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। দেশে প্লাস্টিক খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজা জরুরি।

‘দেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যের বাজার রয়েছে। প্রতিবছর ২০ শতাংশ করে এ বাজার বাড়ছে। তাই এ শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে এ শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী।

প্লাস্টিক শিল্পে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের রক্ষা করতে অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান পরিচালক হাফেজ হারুন।

এফবিসিসিআইর পরিচালক মোহাম্মেদ বজলুর রহমান প্লাস্টিক শিল্পের সমস্যাগুলো এ খাতের উদ্যোক্তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানান।

মুক্ত আলোচনায় মেলামাইন পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকরা জানান, নেপালে বাংলাদেশি মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়। বিপরীতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ১০ শতাংশ। ভারতের মতো বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক কমিয়ে আনতে পারলে নেপালে মেলামাইন পণ্য রপ্তানি করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

এছাড়াও কমিটির সদস্যরা পিভিসি খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করে ৩ শতাংশ পুনর্বহাল, প্যাকেজ ভ্যাট আরোপ, রাবার পণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, খেলনা তৈরির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে আলাদা এইচএস কোড নির্ধারণের দাবি জানান।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (মিন্টু), মো. আবুল খায়ের, নাজমুল হোসাইন, এফবিসিসিআই’র উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ এবং কমিটির অন্যান্য সদস্য।

এ বিভাগের আরো খবর