বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ মাস পর কমতে পারে তেলের দাম: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১৩:০৪

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে দাম কমে আসলে তার প্রভাব আমাদের দেশে পড়তে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। তখন আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।’

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার প্রভাব দেশে আসতে আসতে দেড় থেকে দুই মাস লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহদ।

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে এতো ভর্তুকি দেয়া সম্ভব না। প্রতিদিন ১০০ ডলার করে গত তিন মাসে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এখন সরকার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।

‘বিশ্ববাজারে দাম কমে আসলে তার প্রভাব আমাদের দেশে পড়তে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। তখন আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে অনুরোধ জানাব, বিশ্ববাজারে যখন তেলের মূল্য কমে আসবে, সেটি যখন বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করবে তখন জ্বালানি তেলের মূল্য আবার সমন্বয় করা হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি জানি এই বিষয়টি নিয়ে অনেক রাজনৈতিক দল মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে। তাদেরকে আমি অনুরোধ জানাব বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকাতে। সরকার গত বছর ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে৷ এবছরও কি ৫৩ হাজার কোটি টাকা বা বিপিসির পক্ষে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া সম্ভব?

‘সেটি কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। সেটি সম্ভব নয় বিধায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের অনেক শক্তিশালী দেশ এবং জাপানও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নীতি নিয়ে চলছে। সংকটময় পরিস্থিতির জন্যই বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।’

জ্বালানি তেলে দাম আরও আগে বাড়ানো উচিৎ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের দাম আরো আগেই বাড়ানো উচিৎ ছিল। তাহলে আমাদের এতো ভর্তুকি দিতে হতো না। হঠাৎ করে বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ একটু হতচকিত হয়ে গেছে। এটা আমি জানি বা বুঝি। তবে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে মূল্য সমন্বয় না করে উপায় ছিল না।

‘যখন বিশ্ব বাজারে দাম কমে তখন এর প্রভাব পড়তে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। এজন্য যে দাম কমলে আজকেই বাংলাদেশে চলে আসে না। আসতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই মাস। যখন দেখতে পারছি যে কোনভাবে আমাদের অর্থনীতি এতো ভর্তুকি দেয়া সম্ভব না, প্রতিদিন ১০০ ডলার করে গত তিন মাসে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। তখন সরকার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। যখন বিশ্ব বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে সমন্বয় করা হবে।’

জ্বালানির দামে দোহাই দিয়ে গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তার থেকে যদি কেউ ভাড়া বেশি নেয়। সেটা অন্যায়। সরকার নিশ্চয়ই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এটির প্রভাব অন্যান্য পণ্যের ওপর এখনই পড়ার কোন কারন নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেলের দাম ৭০ থেকে ১০০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর তেলের দাম বাড়ায়নি। গত বছর ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি। এভাবে ভর্তুকি দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। গত ৩ মাসে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। এ জন্যই দাম বাড়ালো হয়েছে।

‘কিছু তেল ভারতে পাচার হচ্ছিল। ভারত থেকে আসা লরি ট্রাক তেল ভরে নিয়ে যায়। সরকার দাম বাড়ানোর পরেও ডিজেলে ভর্তুকি দিতে হবে।’

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার জানানো হয়। ওই দিন মধ্যরাতেই কার্যকর হয় নতুন দর। এর প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ।

দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।

অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে। এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।

শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর