জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে সামগ্রিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
নিউজবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ডিজেলের ব্যবহার যেসব খাতে বেশি হয়, যেমন পরিবহন, কষি, বিদ্যুৎ ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে খরচ বাড়বে। এতে করে ভোক্তার ওপর চাপ আসবে।
‘পরিবহন মালিকরা কী পরিমাণ ভাড়া বাড়াবেন, তার ওপর নির্ভর করবে এ খাতের প্রভাব। আমার মনে হয়, এর প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গে পড়তে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সেচে ডিজেল ব্যবহার হয়। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
‘ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার ফলে এখনই কোনো প্রভাব দেখা যাবে না। কিন্তু ব্যক্তিপর্যায়ে ডিজেল ব্যবহার করে যারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, সেসব ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অন্যান্য কারখানাতেও যারা ডিজেল ব্যবহার করছে, তাদের উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘ফলে সামগ্রিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বাড়বে। এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতিজনিত প্রতিক্রিয়া রয়েছে দেশে। বাড়তি মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। তবে যে কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, বিশেষ করে আইএমএফের সঙ্গে ঋণের আলোচনার শর্ত হিসেবে, আমার মনে হয়েছে সরকারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগটি যথাযথ হয়নি। বরং ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যেসব কাঠামোগত দুর্বলতা আছে, সেগুলো সারাতে হবে।’