যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের খবরে শুক্রবার বিশ্ববাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল জ্বালানি তেলের দাম। তবে সপ্তাহের শেষ দিনের শেষভাগে এসে গত ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হয়েছে জ্বালানি তেল। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বড় দরপতন হয় তেলের।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডে শনিবার প্রতি ব্যারেল তেল ৮০ সেন্ট বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯৪ দশমিক ৯২ ডলারে। যা গতকাল শুক্রবারের চেয়ে ১১ শতাংশ কম।
আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডে ৪৭ সেন্ট বেড়ে বিক্রি হয়েছে ব্যারেল৮৯ দশমিক ০১ ডলারে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৮ শতাংশ কম।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দেশটিতে জুলাইয়ে নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার জনের। যা করোনাভাইরাস মহামারির পর সর্বোচ্চ। এমনকি এদের অনেকের বেতনও আগের চেয়ে বেশি। এই খবরে অনেকটাই বেড়েছিল জ্বালানি তেলের দাম।
মিজুহোর এনার্জি ফিউচারের ডিরেক্টর বব ইয়াংগার বলেন, ‘চাকরির এমন শক্তিশালী খবরে জ্বালানি তেলের বাজারে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।’
তেল ব্যবসায়ীরা এই সপ্তাহে মূদ্রাস্ফিীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং চাহিদা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও অতিরিক্ত জোগানের ফলে দাম কমে গেছে।
জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ উৎপাদন বৃদ্ধির একটি প্রধান সূচক অয়েল রিগ। সপ্তাহ শেষে সচল রিগ ৭টি কমে নেমেছে। জ্বালানি খাতের পরিষেবা সংস্থা- বেকার হিউজেস বলছে, এটি ১০ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো কমেছে।
মন্দা আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ১৯৯৫ সালের পর সবচেয়ে উচ্চহারে নীতিনির্ধারণী সুদের ঘোষণা দেয়।
ওনাডার লন্ডনের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ক্রেইগ এরলাম বলেন, ‘সবাই অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকিকেই অনেক বেশি গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে। জ্বালানি বাজারে সরবরাহ ও জোগান তার মধ্যেই টান টান অবস্থানে রাখা হয়েছে। তবে উৎপাদকদের জ্বালানি উৎপাদন আর বাড়ানোর সক্ষমতা নেই।’
জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক গত সেপ্টেম্বরে দিনে এক লাখ ব্যারেল তেল বেশি উৎপাদনের সিধান্ত নেয়। যা ১৯৮২ সালের পর সর্বনিম্ন উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা।