বিশ্বে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের অবস্থান। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে দেশটির জ্বালানির দরে।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কমলেও বিশ্বে গত কয়েকমাসে দামের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় প্রভাব পড়েছে ভারতেও।
স্বস্তায় রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি করলেও বিগত ছয় মাসে দাম উল্টো বেড়েছে।
দেশটিতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি রুপির দাম পড়ে যাওয়ায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল সাধারণ ভারতীয়রা। ডলারের বিপরীতে রেকর্ড দাম কমেছে রুপির। ফলে দেশটিতে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ও গণপরিবহনে যাতায়াতের ভাড়া।
টানা চার মাস ধরে একটু একটু করে দাম বেড়ে এরই মধ্যে লিটারে ১০০ রুপি ছাড়িয়েছে পেট্রলের দাম, ১০০ ছুঁইছুঁই ডিজেলের দামও। যদিও গত ২ মাস যাবৎ পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবশেষ শনিবার কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রল ছিল ১০৬.০৩ রুপি ও ডিজেলের দাম ৯২.৭৬ রুপি। ইন্ডিয়ান ওয়েলের তরফ থেকে শনিবার সকাল ৭ টায় এই দাম জানানো হয়েছে।
ভারতের অন্যান্য শহরে আজকের জ্বালানি তেলের দাম দিল্লিতে লিটারে পেট্রল ৯৬.৭২ রুপি, ডিজেল ৮৯.৬২ রুপি। মুম্বাইতে পেট্রল ১০৬.৩ রুপি, ডিজেল ৯৪.২৭ রুপি। চেন্নাইতে পেট্রল ১০২.৩ রুপি, ডিজেল ৯৪.২৪ রুপি।
এদিকে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
রাজধানীর শাহবাগের মেঘনা পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল নিচ্ছেন বাইক চালকরা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার সন্ধ্যার প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়। অন্যদিকে অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে। এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের বর্ধিত এ দাম কার্যকর হয় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এর আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি তেল নিতে পেট্রল পাম্পে ভিড় জমান গাড়িচালকরা, তবে অনেক জায়গায় বন্ধ করে দেয়া হয় পেট্রল পাম্প।